স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে সেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা শহরের অম্বিকা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ফরিদপুরের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায় বলে দাবী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলের।
জানা যায়, জেলা শহরের অম্বিকা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা চলছিল। এ কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস,এম জিলানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী। এছাড়াও এসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪ টায় স্বেচ্ছাসেবকদলের এ কর্মীসভা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট পরেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের ওপর এমনটাই অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের।
এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাফিজ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এ,কে আজাদ বাদশা, ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রেজাউল তালুকদারসহ অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবী স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাদের। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, বিকালে অম্বিকা হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা শুরু হয়। শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় অন্তত ৪০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী আহত হয় বলে তিনি দাবী করেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা।
Leave a Reply