1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
শোভারামপুর স্কুলে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর ন্যার্য বিচার এড়াতে মানববন্ধনে বাঁধা - আজকের ফরিদপুর
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

শোভারামপুর স্কুলে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর ন্যার্য বিচার এড়াতে মানববন্ধনে বাঁধা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৩৫ জন পঠিত
শোভারামপুর স্কুলে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর ন্যার্য বিচার এড়াতে মানববন্ধনে বাঁধা
শোভারামপুর স্কুলে শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর ন্যার্য বিচার এড়াতে মানববন্ধনে বাঁধা

সবুজ দাস, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদর উপজেলার শোভারামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আলোচিত নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানী করায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের এমন পৈশাচীক কর্মকান্ড একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ধামা চাপা পরে যাওয়ার আশংকা করছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে ঐ শিক্ষার্থী লোকলজ্জার ভয়ে স্কুলে না যাওয়ায়, আদৌ সে আর স্কুলে যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে পরিবারের মাঝে। যদিও ঘটনাটি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী ন্যার্য বিচার সার্থে একটি মানবন্ধন করতে চাইলেও স্কুল কমিটির সভাপতির কারনেই এ মানববন্ধন হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর শোভারামপুরের কালীবাড়ি এলাকায় স্কুল শিক্ষক প্রকাশ কুমার রায়ের নিকট প্রাইভেট শেষে ফেরার পথে বৃষ্টি শুরু হলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার এক বান্ধবী অন্যদের মত স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সময় স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক নাজমুল হাসানের কুদৃষ্টি পরে ঐ শিক্ষার্থীর উপর। একপর্যায়ে ঐ শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া সকল শিক্ষার্থীকে আকস্মিত ছুটি দিয়ে নবম শ্রেণীর ঐ শিক্ষার্থীকে জরুরী কথা আছে বলে থাকতে বলে। সেই সাথে তার বান্ধবিকেও স্কুল থেকে চলে যাওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে একটি রুমে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করার চেষ্টা করে। তবে ধস্তাধস্থির একপর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থী স্কুল শিক্ষক নাজমুল এর হাত থেকে কোন ভাবে নিজেকে রক্ষা করে দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনার পর থেকে ঐ শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। তবে বেশ কয়েকদিন স্কুলে না যাওয়ায় ঐ শিক্ষার্থীর মা স্কুলে না যাওয়ার কারন জানতে চাইলে কান্না জড়িত কন্ঠে তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা খুলে বলে। এ বিষয়ে ঐ ছাত্রীর মা অভিযোগ করে জানান, আমি ঘটনা জানার পরপরই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানিজিং কমিটিকে অবগত করি। তবে তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে তাচ্ছিল্য করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বাধ্য গত ১৮ ই অক্টোবর বিষয়টি লিখিত ভাবে আমি সদর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করি। তবে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করার পরপরই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানিজিং কমিটির সদনস্যবৃন্দরা লিখিত ভাবে ঘটনাটি জানতে পাননি বলে অজুহাত দেখিয়ে দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এমনকি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনেও ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্যেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ঘটনাটির ন্যার্য বিচার স্বার্থে আমি ও এলাকার জনগন মিলে গত ৩০ শে অক্টোবর একটি মানববন্ধন করার উদ্যোগ নিলেও স্কুল কমিটির সভাপতি ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জাফর শেখ এর নির্দেশে নাঈম নাম করে স্থানীয় এক যুবক মানববন্ধন করতে নিষেদ করে। এমনকি এই মানবন্ধন এখানে অনুষ্ঠিত হলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিও হবে বলে সে হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে ঐ যুবক নাঈমের নিকট জানতে চাইলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির একাধীক সদস্যবৃন্দ জানান শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর বিষয়টি তারা মৌখিক ভাবে ও সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে দেখতে পেলেও ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যাবস্থা নিতে পারেননি। তবে সাময়িক ভাবে ঐ শিক্ষককে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে বলে তারা জানান। মানবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারে না বলে এড়িয়ে যান। এ ছাড়াও স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক কানাই লালও ম্যানেজিং কমিটির সুরে সুর মিলিয়ে একই বক্তব্য দেন।

এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর জাফর শেখ জানায়, ঘটনাটি নিয়ে ঐ ছাত্রীর মা আমাকে মৌখিক ভাবে অবগত করলে তাকে লিখিত ভাবে জানানোর জন্য বলা হয়। তবে সে কোন লিখিত না দিয়েই সদর উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে। একপর্যায়ে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুল প্রতিষ্ঠানে আসতে নিষেধ করি। মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি জানান, আমি নাঈম নাম করে কাউকে চিনি না, বা তাকে কখনো দেখিইনি। আর তা ছাড়া আমি কেনই বা এতে বাঁধাগ্রস্থ করব। আমরাও চাই শিক্ষার্থী যেন ন্যার্য বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পূর্নাঙ্গ তদন্ত করে পুরো বিষয়টি জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিনার (ইউএনও) লিটন ঢালিও জানিয়েছিলেন বিষটি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজ চলছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  যাই হোক এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানিয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ ফরিদপুরের সচেতন মহল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION