স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সমবায় ব্যাংকের বরখাস্তকৃত সাবেক কো-অর্ডিনেটর রহুল কুদ্দুস পাশা ও তাঁর অধীনস্ত দুই কর্মকর্তা-কর্মীর যোগসাজসে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের অন্তত ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এমনই অভিযোগ এনে আত্মসাৎকৃত অর্থের একক দায়বদ্ধতা কথা উল্লেখ করে রুহুলকে অর্থ ফেরতের নোটিশ দিয়েছে সমবায় কর্তৃপক্ষ। মোঃ রহুল কুদ্দস পাশা ফরিদপুর সদর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত মো: আলী শেখ এর পুত্র।
গত ১ জুন ফরিদপুর সমবায় পরিচালকের স্বাক্ষরিত ঐ নোটিশে বলা হয়, আপনি (মোঃ রহুল কুদ্দস পাশা) ফরিদপুর সমবায় ব্যাংকের কো-অর্ডিনেটর কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকীর জন্য আইনগত চুক্তিবদ্ধ হয়েও ব্যাংকের জন্য ক্ষতিকর ও স্বার্থপরিপন্থী কাজে যুুক্ত হয়ে মাঠ হইতে আদায়কৃত ও হিসাব শাখায় জমাকৃত সর্বমোট ১৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ২১৮ টাকা আত্মসাৎ এ সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং ব্যাংকের সাথে ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভংঙ্গ করেছেন। চুক্তি মোতাবেক এর সকল দায়ভার একক ভাবে বহনের জন্য আপনি দায়বদ্ধ রয়েছেন।
ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, গত ০২/০৪/২০১৯ইং তারিখ হইতে ২৬/০৪/২০২২ইং তারিখ পর্যন্ত প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর/সমন্বকারী পদে থেকে ব্যাংকের ফিল্ড ও হিসাব শাখার তদারকীর দায়িত্বে ছিলেন রুহুল। মাঠ পর্যায় হইতে সংগৃহিত ঋণ-আমানতের ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা মাঠ কর্মী রাহুল খান শুভ ও বরখাস্তকৃত কো-অর্ডিনেটর রহুল কুদ্দুস পাশা দুজনের যোগসাজসে ঐ অর্থ ভাগ করে নিয়েছেন। যদিও আদায়কৃত অর্থগুলি ভয় দেখিয়ে সম্পুর্ন অর্থই নিজ কবলে রাখতেন বলে মাঠ কর্মি রুহুল ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। এ ছাড়াও হিসাব কর্মকর্তা সুমাইয়া ও রুহুল ব্যাংকের অনুকুলে থাকা দোকান ভাড়া, ঝন ও আমানতের ১০ লক্ষ ২১ হাজার ২১৮ টাকা আত্মসাৎ এর সাথে তাঁর সরাসরি যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে বলে ব্যাংক সুত্র জানান।
এর আগে পাশার বিরুদ্ধে অর্থঅত্মসাৎ ও বিভিন্ন অভিযোগে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও পরে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করেন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ ছাড়াও ব্যাংক কর্মকর্তাদের হুমকি,অসদআচরন, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর সেন্ট্রাল কো: ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গত ২৫/০৪/২০২২ ইং তারিখে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় জিডি করেন, যাহার নম্বর- ১৪৪১। এ ছাড়াও জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এ সব অনিয়মের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত রহুল কুদ্দুস পাশার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply