স্টাফ রিপোর্টার : অনুজীব-বিরোধ প্রতিরোধ্যতা তথা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স যে হারে বাড়ছে, তাতে করে হয়তো দুই থেকে তিন দশকের মধ্যে মানুষ সংক্রামক রোগে অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করবে। ২০৫০ সালের পর প্রতিবছর বিশ্বের এক কোটি করে মানুষ মারা যাবে এর প্রভাবে। আজ মঙ্গলবার প্রাণী ও মানব স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে ওয়ান হেলথ ধারণা অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বা এএমআর এর সমাধান প্রচার শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে একটি কনফারেন্স রুমে ইউএস এইড, এসিডিআই ভোকা ও ফিড দ্য ফিউচার যৌথভাবে দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এসময় এএমআরের অপরিমিত এবং অতিরিক্ত ব্যবহার সহ ক্ষতিকর দিক এবং সমাধানে উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান। জেলা ভ্যাটেরিনারী কর্মকর্তা ডা. মনমথ কুমার সাহার সভাপতিত্বে সেমিনারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম আসজাদ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে জেলার নয়টি উপজেলার ভ্যাটেনারী সার্জন এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
এ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে নিত্যদিনের আহার্যের মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, শাকসব্জী সহ নানা কৃষিজ পণ্েেয কীটনাশক প্রতিরোধে স্প্রে, পচনরোধক ফরমালিনের ব্যবহার এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে মাত্রাতিরিক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে কিভাবে মানব শরীর সহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে অনুজীব-বিরোধ প্রতিরোধ্যতা তথা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স গড়ে উঠছে সে সম্মন্ধে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা তৈরি এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচানোর স্বার্থে আমাদেরকে এব্যাপারে এখনই সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে গবাদিপশু চিকিৎসায় যেসব কোয়াক রয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে তাদের আরো সচেতন করে তুলতে হবে। আগামীর বিশ্বকে ভযাবহ খাদ্য হুমকি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষার জন্য এব্যাপারে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সময়।
Leave a Reply