1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
দূর্গম চরে খুলে গেল স্বাস্থ্য সেবার দ্বার - আজকের ফরিদপুর
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

দূর্গম চরে খুলে গেল স্বাস্থ্য সেবার দ্বার

  • Update Time : বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭৩৩ জন পঠিত

ফরিদপুর অফিস :
ফরিদপুরের পদ্মা নদীর দূর্গম চর ভাঙ্গীডাঙ্গী গ্রামে মা ও শিশুদের জন্য নতুন হাসপাতাল হওয়ায় ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত মানুষের জন্য খুলে গেল চিকিৎসা সেবার দ্বার।

আজ বুধবার দুপুরে হাসপাতালটির উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন ও স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করেন।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। নবপ্রতিষ্ঠিত মাজেদা বেগম দশ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ ফরিদপুরের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা।

অবহেলিত এই চরাঞ্চলে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ। তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটির এই পরিদর্শন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি, তার মা মাজেদা বেগম, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, শারমীন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, নেক্সট কালেকশনস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন ও সমকাল এর প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল সংলগ্ন মোতালেব হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর এম এ সামাদ, প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ, প্রফেসর ম. হালিম, প্রফেসর ডা. খবিরুল ইসলাম, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এফডিএ এর নির্বাহী পরিচালক আজাহারুল ইসলাম, একেকে এর নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল জলিল, বিএফএফ এর নির্বাহী পরিচালক আ.ন.ম ফজলুল হাদী সাব্বির, স্থানীয় ডিক্রীরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক, আলীয়াবাদ ইউয়িনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ডাবলু, অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারী, চরভদ্রাসন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ খান, গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মাজেদা বেগম দশ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সেবাগ্রহীতাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, বর্তমান সরকার মূলধারার জনগোষ্ঠির পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিভিন্ন বিশেষায়িত উদ্যোগ গ্রহন করে চলেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি তারই একটি উদাহরন। পদ্মার চরের স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে এই হাসপাতাল গড়ে তোলা সম্ভব হত না যদি না স্থানীয়ভাবে জমি পাওয়া না যেত। হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা জমিসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় স্থানীয় মা ও শিশুরা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। এই সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে সকলের সহযোগিতা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে। তিনি বলেন, চরাঞ্চলের মানুষ এখন আর মূল ধারার বাইরে নয়। এই ভাঙ্গীডাঙ্গী গ্রামসহ পুরো চরে বর্তমান সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রভুত উন্নয়ন করেছে। এখন প্রয়োজন স্থানীয় মানব সম্পদের উন্নয়ন। প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে চরাঞ্চলের মানুষ বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কল-কারখানায় কাজের সুযোগ হারাবে। সে জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।

হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, এক সময় এই চর ছিল সুজলা সুফলা, শস্য শ্যামলা, এই অঞ্চল ছিল সমৃদ্ধ জনপদ। এক সময়ে এদের গোলা ভরা ধান, গোয়ালভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ ছিল। আগ্রাসী পদ্মার করাল গ্রাসে নিঃস্ব হয়েছে তারা। ভাগ্যবিরম্বিত এসব পরিবার দীর্ঘদিন পর আবার ফিরে এসে ঘর বাধতে শুরু করেছে এই চরে। আমারাও এক সময় এখানকার বাসিন্দা ছিলাম। তাই নিজ এলাকার নাড়ীর টানে এখানে মোতালেব হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোতালেব হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ও মাজেদা বেগম দশ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র করার জন্য উদ্যোগী হয়েছি আমারা, সরকার আমাদের এসব উদ্যোগে সর্বত্মক সহযোগিতা করছে।
তিনি বলেন, এই এলাকার উন্নয়নে একটি কারিগরি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলাপ আলোচনা করে এ ব্যপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করব। এছাড়া এই চর এলাকার সাথে শহরের যোগাযোগ যাতে আরো সহজ করা যায় সে ব্যপারে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় শারমীন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন স্থানীয় একটি মসজিদ নির্মানের জন্য ৫০ লক্ষ ও প্রস্তাবিত এ. কে আজাদ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ লক্ষ, মোট ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলার পদ্মা নদী বেষ্টিত ডিক্রীরচর ইউনিয়নের ভাঙ্গীডাঙ্গী গ্রামে এ সেবাকেন্দ্রটি ৫০শতাংশ জমির উপর নির্মিত। ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে ওটি রুমসহ চিকিৎসার আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এর নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে এখানে একজন মেডিকেল অফিসার, সেকমো, ভিজিটরসহ ফুল টিম ২৪ঘন্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের গর্ভবতী মা ও শিশুরা হাসপাতালটি থেকে সেবাগ্রহন করতে শুরু করেছেন। হাসপাতালের দুটি ভবনের একটিতে রয়েছে ডরমেটরী। সেখানে ৩ জন ডাক্তার ও ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION