স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের হরিন্যা গ্রামের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী হাজী নাজমুল ইসলাম (বাবু মোল্লা) ও ইতালী প্রবাসী মো. রুহুল আমীন রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ষড়যন্ত্র ও হয়রানীমূলক দাবী করে, সাংবাদিক সম্মেলন করে মামলা থেকে মুক্তি পেতে উর্দ্ধতন ও সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল ইসলামের স্ত্রী মিলি আক্তারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. নাজমুল ইসলাম ১৯৯০ সাল থেকে কাতারে ও ভাসুর রুহুল আমীন ২০০৭ সাল থেকে ইতালীতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতিকালে তারা ছুটিতে বাড়ী আসেন। তিনি দাবী করেন ওই দুই প্রবাসীর নাম প্রতিহিংসামূলকভাবে সদরপুরের আলোচিত শিশু রাফসান হত্যা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তিনি আরো দাবী করেন, রাফসানের পিতার ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতীর পক্ষে ইউপি নির্বাচন চলাকালে কাজ না করায় আগে থেকেই আমাদের পরিবারের উপর ক্ষুব্দ ছিলো, তাই হয়রানী করতেই চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতী তার সন্তান হত্যা মামলায় নাজমুল ইসলাম ও রুহুল আমীনকে আসামী করেছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনার সময় স্বামী নাজমুল ইসলাম ও ভাসুর রুহুল আমীন একটি জমিন নামজারীর কাজে তহশিল অফিসে অবস্থান করছিলেন, মানুষের মাধ্যমে তারা হামলার ঘটনা জানতে পারেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত নাজমুলের স্ত্রী মিলি আক্তারী ও রুহুল আমীনের স্ত্রী সালমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রবাসী দুই ভাইকে মামলায় তাদের অন্তর্ভুক্তি হয়রানীমূলক উল্লেখ তাদের মুক্তি দিয়ে উর্দ্ধতন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বয়াতীর সদরপুরের বাসায় দূর্বৃত্তের হামলায় শিশুপুত্র রাফসান নিহত হয়। এসময় তার স্ত্রী আহত হন। এ ঘটনার ১৩ দিন পর ৩১ মে নয়জনের নামোল্লেখ করে আরো কয়েকজন অজ্ঞাত নামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। #
Leave a Reply