স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের কানাইপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রীক দুই গ্রুপের সংর্ঘষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। দুই জনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জানা যায় বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গ্রুপ ও আলতাফ মাতুব্বর কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী (বিএনপি ) গ্রুপ, ০৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলু কাজী, আবু তালেব (সাবেক চেয়ারম্যান) অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এই সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট সহ ২০ জনকে আহত করে। আহতদের মধ্যে চেয়ারম্যান বেলায়েত ফকির গ্রুপের মিরাজ মোল্লা (৩৫), ফজলু কাজী গ্রুপের কবির শেখ (৫২), আহম্মেদ খান (৩২), কাইয়ুম মাতুব্বর (৩৮), মোহম্মাদ খান (৩১) গুরুতর আহত হয়। তাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ফজলু কাজী গ্রুপের আহত জামসেদ খা (৪০), রাবেয়া বেগম (৪০), মুরাদ শেখ (৪০), গহোর শেখ (৪০), সুজন শেখ (২৭), টুটু মাতুব্বর (৪৮), ইকরাম সিকদার (৪৮), মাহবুব সিকদার (৩২), জমসের খান (৩৫), টুকু মাতুব্বর (৪২), আজিজুল খা (৩২)সহ অনেকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ট্রমাতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যে কোন সময় বড় ধরনের সংর্ঘষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় মানুষ।
এদের মধ্যে প্রায়ই এধরন সংর্ঘষের ঘটনা হচ্ছে। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন গ্রুপের সাথে কানাইপুর ০৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ফজলু কাজি ও আলতাফ মাতুব্বর সাথে আধিপত্য নিয়ে বছরে ৩/৪ বার সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে হাসপাতালে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জান এস.পি সার্কেল ও কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মোল্লা মিনু ও সাধারণ সম্পাদক রতন সিকদার নিতাই সহ নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply