স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই দশক ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গরমের মৌসুমী ফল লিচুর আবাদ। বাড়ীর আঙ্গীনায় থাকা গাছের লিচুর ফলন থেকে চাষের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই এখন পরিকল্পিতভাবে লিটুর আবাদ করছেন। স্বাধ ও সাইজ ভালো হওয়ায় আগামীতে ফরিদপুর লিচুর জন্যে ব্র্যান্ড হতে পারে বলে ধারণা কৃষি বিশেষজ্ঞদের।
জেলাবাসীর কাছে লিচুর গ্রাম হিসেবে খ্যাত জেলার মধুখালী উপজেলার জাহাপুর গ্রাম। যদিও লিচু আবাদের পরিধি এরই মধ্যে ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে জাহাপুরের আশেপাশের অন্তত দশটি গ্রামে। আর জেলার অন্যান্য এলাকাতেও কমবেশী আবাদ হচ্ছে লিটুর।
জাহাপুরের লিচু আবাদকারীদের দাবী, এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই প্রচন্ড রোদ থাকায় ফলন কিছুটা কম হওয়ার পরও লাভবান অত্র এলাকার চাষীরা। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় শোভা পাচ্ছে লিচু। তাদের দাবী, লিচুর আবাদ করে স্বচ্ছলতা পেয়েছে এতদাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার।
চাষীরা জাজান, লিচুর বাজারজাতকরণে যেতে হয়না দুরে কোথাও, পাইকাররা বাগানে এসেই কিনে নিয়ে যায় ন্যায্য মূল্যে। আর পাইকারদের দাবী, এ এলাকার লিচুর সাইজ ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা রয়েছে, তাই এখানকার লিচু পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এদিকে অন্যান্য ফসলের তুলনায় লিচু আবাদ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন ঝুঁকছে লিচু আবাদে। এতে বাড়ছে লিচু আবাদের পরিধি। দুই যুগ আগের জাহাপুরের হাতে গোনা কিছু বাড়ীতে লিচু গাছ থাকলেও এখন প্রায় প্রতিটি বাড়ীর পাশাপাশি কৃষি জমিতেরও গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ছোটো বড় বাগান।
আর ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. হযরত আলীর দাবী, জাহাপুর ও আশে পাশের গ্রামের মানুষের দেখাদেখি জেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলছেন লিচুর বাগান, যাদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দেয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগ থেকেই। তিনি মনে করেন, ফরিদপুর অঞ্চলের লিচুর সাইজ ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে আবাদ বাড়ছে, ফলশ্রুতিতে আগামী দিনে লিচুতেই ব্র্যান্ড হতে পারে ফরিদপুর।
জেলার কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবছর জেলায় ২৬ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। #
Leave a Reply