নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিমের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আপনার অফিসে দুই ক্লার্কের ঝগড়া হয়েছে। আপনি কীভাবে এতে সম্পৃক্ত হয়ে গেলেন? আপনি তো দুজনের অভিভাবক, সমাধান না করে পক্ষ নিলেন। ফরিদপুরের বোয়ালমারীর মানুষ কি ঘটনাটি জানে না।
পত্রপত্রিকায় এসেছে। তাদের কাছে ভুল বার্তা গেছে যে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। সভ্য রাষ্ট্র যেভাবে পরিচালিত হয়, তাতে একটি কলঙ্ক লেগে গেল।’ বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন।
নোটিশ জারি করতে যাওয়া আদালতের দুই কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির হন বোয়ালমারীর ইউএনও রেজাউল করিম ও তাঁর অফিসের নাজির উকিল মিয়া। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল বোয়ালমারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানি মামলার (৫৩/২০২২) নোটিশ জারি করতে জারিকারক মো. কামাল হোসেন ও মেহেদী হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
আদালতের কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার হুমকির অভিযোগ ওঠে। এরপর ফরিদপুর আদালত থেকে লিখিতভাবে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ঘটনা জানিয়ে অবহিতকরণপত্র পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। শুনানি নিয়ে ৭ জুন হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল দিয়ে নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে বোয়ালমারীর ইউএনও ও তাঁর অফিসের নাজিরকে ২১ জুন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
এ অনুসারে সকালে বোয়ালমারীর ইউএনও মো. রেজাউল করিম ও তাঁর অফিসের নাজির উকিল মিয়া আদালতে হাজির হন। আদালতে ইউএনওর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শফিক আহমেদ ও মাহবুব শফিক। উকিল মিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
Leave a Reply