ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর সদর, মধুখালী ও ভাঙ্গা উপজেলায় পৃথক তিনটি সড়ক দূর্ঘটনায় ১০জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১০ জন।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ পরিদর্শক মো. কাউছার জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দিতে নামকস্থানে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। সকাল আটটার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। সকালে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার উদ্ধেশ্যে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস মাঝকান্দিতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুই নারী, এক শিশু সহ সাতজনের মৃত্য হয়।
এদের মধ্যে দুইজনের লাশ করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাড়িতে ও পাঁচ জনের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এঘটনায় আহত নয় জনের মধ্যে সাত জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং দুইজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহের মহেশপুরের জুয়েল (২৩), তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (১৯), চার মাসের শিশু পুত্র মুজাহিদ, শাশুড়ী কুটি বেগম (৪০) এবং ফুফু শাশুড়ী আমেনা বেগম (৫৫)। অন্যরা হলেন একই এলাকার নজরুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন। বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল।
অপরদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বিশ্বরোডে মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সুত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো একজন। আজ ভোর রাতে ভাঙ্গা বিশ্বরোডে এই ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন হলেন শফিকুল খানের পুত্র সাকিল খান (২২)। সে ঢাকার সরকারী তিতুমীর কলেজের বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র। অপর নিহত ও আহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ জানান, রবিবার ভোরে সাকিল তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে শিবচর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। তাদের মোটরসাইকেলটি ভাঙ্গা বিশ্বরোডে আসলে মোটরসাইকেল এর সাথে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আহত অপরজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া দুপুরে সদর উপজেলার বাকুন্ড এলাকায় ভাটার মাটি টানার কাজে ব্যাবহৃত ট্রলির চাপাল সুমন শেখ নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সুমন বাকুন্ডার কালাম শেখের পুত্র। #
Leave a Reply