স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের ০৭, ০৮ ও ০৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য লাকী বেগমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মো. আজম মিয়ার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নারী ইউপি সদস্যের মেয়ে মোসা. হাফসা এবং ভাগ্নে আব্দুর রহমানও হামলার শিকার হন। গুরুত্বর আহত লাকী বেগম বর্তমানে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নারী ইউপি সদস্য লাকী বেগম জানান, ধলার মোড় এলাকার বালু ব্যবসায়ী মো. আজম মিয়ার লোকজন পালডাঙ্গীতে সড়কের পাশের সরকারী জায়গায় দখল ঘর তুলছিলেন। এসময় সরকারী জায়গায় ঘর তোলার কারণ জানতে চাইলে ঘর উত্তোলনকারীরা ক্ষুব্দ হন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমতি ছাড়া ঘর উত্তোলন করতে নিষেধ করলে মো. আজম মিয়ার নির্দেশে তার লোকজন হামলা চালায়। তিনি জানান, লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে, ইট দ্বারা মাথায় স্বজোরে আঘাত করলে আহত হন তিনি। এসময় তারে রক্ষা করতে গেলে মেয়ে এবং ভাগ্নেকেও মারধর করা হয়।
এ অভিযোগ অস্বিকার করে আজম মিয়া বলেন, সরকারী জমির পেছনে আমার ব্যাক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত জমিতেই ঘর তুলতে কাজ করছিলেন আমার স্বজনেরা। তিনি ওই নারী ইউপি সদস্য তার চাচাকেই হামলা করে আহত করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন।
এদিকে নারী ইউপি সদস্যের ওপর হামলায় হামলার ঘটনায় বিক্ষুব্দ ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির জানান, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী আজম মিয়া ওই এলাকার মানুষের ত্রাস। সরকারী জমি দখল করে বালি কেটে বিক্রি করে থাকেন। সম্প্রতি তার অপরিকল্পিক বালু কাটার কারণে ওই এলাকাতেই ব্যপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করতে গেলে হুমকী ধামকী দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রাখে। তিনি বলেন, নারী ইউপি সদস্যকে মারধরের বিষয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিষদের সভা ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষযে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান জানান, এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #
Leave a Reply