স্টাফ রিপোর্টার : ‘‘তথ্যই শক্তি: জানবো জানাবো, দুর্নীতি রুখবো” এই শ্লোগানে আয়োজিত শহরের অম্বিকা ময়দানে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল। গত মঙ্গলবার বিকাল ৩.০০টা হতে আনুষ্ঠানিভাবে শুরু হয়ে হয়ে ১৫-১৬ নভেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার ও বুধবার) প্রতিদিন বিকাল ৩.০০টা থেকে রাত ৮.০০টা প্রর্যন্ত মেলা চলে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসন, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর যৌথ উদ্যোগে তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এর প্রচারণার অংশ হিসেবে জনসাধারণের কাছে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে তথ্য কমিশন এর নির্দেশমতে প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও এ মেলার আয়োজন করে।
তথ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ আসলাম মোল্যা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রেজাউল করিম, উপ-পরিচালক, দুদক-ফরিদপুর। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসেকুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সনাকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সনাক ফরিদপুরের সম্মানিত সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, টিআইবি প্রতিনিধি মোঃ মাহান উল হক নোবেল, ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর।
প্রধান অতিথি উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ আসলাম মোল্যা বলেন; সরকার নাগরিকদের অবাধে তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার টোল ফ্রি জরুরি সেবা কল নাম্বার চালু করেছে। নির্দিষ্ট নাম্বারে ফোন দিয়ে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন। পাশাপাশি সরকারি ওয়েব পোটালেও তথ্য উন্মুক্ত আছে বলে তিনি জানান। একইসাথে তিনি সরকারি সকল দপ্তর প্রধানগণকে জনগণকে সঠিক তথ্য প্রদানের তাগিদ প্রদান করেন। মেলার সমাপনী দিন জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে তথ্য অধিকার আইন ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), ফরিদপুর।
এসময়কালে তিনি উপস্থিত নাগরিকদের মাঝে তথ্য অধিকার আইন ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। দুুই দিন ব্যাপী মেলায় ২৩ টি সরকারি এবং ০৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদেও নিজ নিজ দপ্তরের তথ্য সেবা প্রদানের জন্য অংশগ্রহণ করে। মেলায় তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ফরম পূরণ ও তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে টিআইবি’র সেচ্ছাসেবক ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সার্পোট (ইয়েস) গ্রæপের সদস্যরা। এসময়কালে ছয় সতাধিক নাগরিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫৪৪ জন নাগরিক মেলার স্টল থেকেই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তথ্য পেয়েছেন বলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ তথ্য থেকে জানা যায়।
তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন এবং তথ্য প্রদানের শীর্ষ ছিল জেলা সিভিল সার্জন অফিস-১৪৪টি, দ্বিতীয় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-৮৪টি ও তৃতীয় জেলা পুলিশ-৮০। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কর্নারে সনাক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর পাশাপাশি উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে স্বাধীন, দ্বিতীয় গৌরভ সরকার ও তৃতীয় সুমাইয়া আক্তার মীম। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তথ্য প্রদানের শীর্ষ তিনটি দপ্তর ও কুইজ বিজয়ীদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
Leave a Reply