বোয়ালমারী ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চালিনগর গ্রামে শামসুল উলুম কওমী মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র মো. জব্বারকে ক্ষুদ্র বিষয়ের জের ধরে রুকু নামের এক স্থানীয় লোক মারপিট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরত্বর আহত অবস্থায় মাদ্রাসার ছাত্রকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মো. জব্বার আলফাডাঙ্গা উপজেলা বারাংকুলা গ্রামের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে। এনিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ছাত্র ৩১ মার্চ শুক্রবার রাতে চালিনগর গ্রামে তার খালু দবির শিকদারের বাড়ি থেকে রাতের খাবার নিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে মাদ্রাসায় ফিরছিলেন। তখন রুকুর বাড়ির সামনে আসলে লাইট জ্বালানোর অপরাধে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে মারপিট করে গুরুত্ব আহত করা হয়। মাদ্রাসার ছাত্রকে মারপিট করার বিষয়ে রুকু স্বীকার করে বলেন, একটি ছেলেকে ওই মাদ্রাসার ছেলে মারতে দাবড়ানি দেন। আমার বাড়িতে ঢুকলে তাকে মারামারি করতে নিষেধ করা হলে সে আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে মারধর করে বলে দাবি করেন রুকু। পরে মাদ্রাসার ছাত্রকে লাঠি দিয়ে চার পাঁচটা বারি মারা হয়েছে এর বেশি না। মাত্র চার পাঁচটা বারি মারলে তিন চারদিন যাবত হসপিটালে ভর্তি থাকার কারণ জানতে চাইলে।
তিনি বলেন এটা আমাকে ফাসানোর জন্য করা হয়েছে। আর এ নিয়ে আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন আমার কোন দুঃখ নেই। এতে আমার কিছু হবে না। কতজন থ্রি ফোর মার্ডার করে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর আমিতো একজন মাদ্রসার ছাত্রকে মেরেছি। আমার এ বিষয় নিয়ে গ্রামবাসি শালিস করে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। স্থানীয় একাধিক লোকজন বলেন ওই রুকু মোল্যা ফাজিল প্রকৃতির লোক সে একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে ক্ষুদ্র বিষয়ে এভাবে মারপিট করেছে এটা ঘৃণিত এবং জঘন্যতম কাজ করেছে।
মাদ্রাসার ছাত্র অপরাধ করেছে তার হুজুরের কাছে বিচার দিতো। সে কেন মাদ্রাসা ছাত্রকে মারপিট করলো। রুকুকে একটি মহল বাঁচাতে শালিস নামের নাটক মঞ্চায়িত করে মাত্র পনেরো হাজার টাকায় মিটমাট করে দিয়েছে। এ অন্যায় টাকায় মিটমাট না করে আইনের মাধ্যমে সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। বোয়ালমারী থানা পুলিশ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।
Leave a Reply