সবুজ দাস, ফরিদপুর : রাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ-৫ পাওয়া সেই অদম্য মেধাবী সালমান মৃধাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজে খন্ডকালীন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। জানা যায়, রাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী এই সালমান মৃধা (১৬) সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধার ছেলে। সালমান ২০২২ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তার বাবা মোঃ বিল্লাল মৃধা (৫০) একজন গরীব অসহায় ফরিদপুর শহরের চকবাজার এলাকায় কুলির কাজ করতেন। এখন তিনি অন্যের জমিতে কাজ করে যা পান তা দিয়েই তাদের কোনোমতে চলে সংসার। সালমান তাঁর বাবার অভাব অনটনের কষ্ট বুঝে কখনো করেছে অন্যের জমিতে কাজ, আবার কখনো রাজমিস্ত্রীর শ্রমিকের কাজ। সংসারের খরচ বহনের পাশাপাশি নানা বাধা-বিপত্তি মধ্যে দিয়ে চালিয়ে গেছে পড়াশোনা। মেধাবী সালমান মৃধা দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। ছোট ভাই সিয়াম মৃধা (১২) ঈশান ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মেধাবী এর সালমান মৃধার কলেজের ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে তার পাশে দাঁড়ায় ফরিদপুর জেলার মানবিক জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। এর আগে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে (৪ জানুয়ারি) বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মেধাবী ছাত্র সালমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। একই সাথে সালমান ও তার ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার ব্যয়ভার বহনসহ তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক সালমান মৃধাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজে খন্ডকালীন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করেন।
এছাড়া, সালমানের ছোট ভাইয়ের লেখাপড়া নির্বিঘ্ন করতে স্কুল ড্রেস তৈরি করিয়ে দেয়াসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী জানিয়েছেন, মেধাবী সালমান মৃধার কলেজের ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে তার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন ফরিদপুর জেলার মানবিক জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার।
এছাড়াও তার ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহনসহ তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এরই ধারাবহিকতায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজে খন্ডকালীন অফিস সহায়ক পদে সালমানকে নিয়োগ ও তার ছোট ভাইয়ের লেখাপড়া নির্বিঘ্ন করতে স্কুল ড্রেস তৈরি করিয়ে দেয়াসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। এ চাকরির সুবাদে সালমান পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ও পরিবারের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে বলে মনে করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী।
Leave a Reply