1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
পাটকাঠি দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় চাষিরা
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

পাটকাঠি দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় চাষিরা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৫৩৪ জন পঠিত
পাটকাঠি দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় চাষিরা
পাটকাঠি দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চায় চাষিরা

মনির মোল্যা, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় এবার সোনালী আঁশ পাটের চেয়ে পাটকাঠির কদর বেড়েছে কয়েকগুন বেশি। বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠির ব্যবহার বাড়ায় আর দাম ভাল হওয়ায় পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির যতœ ও নিচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার সর্বত্রই নদ-নদী আর খাল-বিলের পাড়ে সুন্দর করে আঁটি বেধে সাজিয়ে সাজিয়ে পাটকাঠি শুকানোর দৃশ্য চোখে পড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মৌসুমে পাটের যে ক্ষতি হয়েছে তা পাটকাঠি দিয়ে পুষাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এখানকার কৃষকরা। দিন-রাত পাটকাঠির উপর শ্রম দিচ্ছে তারা। কৃষকরা জানিয়েছেন- বৃষ্টি আর বর্ষার পানির অভাবে এবার পাট জাগ দিতে হিমশিম খায় চাষিরা। এমনকি পানির অভাবে অনেকস্থানে ক্ষেতেই পাট শুকিয়ে মরে যায়। এমন পরিস্থিতে কৃষকরা মাটি খুঁড়ে পাট জাগ দিতে বাধ্য হয়।

এতে নষ্ট হয় পাটের কালার। ফলে পাটের দামও তুলনামূলক কম পেতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির কালার কিছুটা নষ্ট হলেও দামে এর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। কৃষকদের ধারনা এবার পাটের ক্ষতি আর লোকসান পুষিয়ে নিতে পাটকাঠির উপর গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দী গ্রামের পাট চাষি হারুন মিয়া ও হাফেজ মোল্যা বলেন, পানির সমস্যার কারণের এবার পাট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। মাটি খুঁড়ে আর নোংরা জলাশায় পাট জাগ দিয়ে পাটের রং নষ্ট হওয়ায় দাম প্রতিমণে ৪ থেকে ৫ শত টাকা কম পেতে হচ্ছে। তবে পাটকাঠির রঙের তেমন পরিবর্তন হয়নি। আবার পাটকাঠির দামও চড়া। তাই পাটপাঠির উপর গুরুত্ব দিয়ে যতœ নিতে শুরু করেছি। কারণ এক বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০ মণের মত পাট ফলন হয় আর তা থেকে প্রায় ২ হাজার আঁটি কাপকাঠি বের হয়। প্রতিআঁটি পাটিকাঠি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করছি। এতে প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ১০ হাজার টাকার পাটকাঠি বিক্রি করতে পারবো। তবে বিগত বছরগুলোতে সময়ের অভাবে পাটকাঠির উপর তেমন গুরুত্ব ছিল না আমাদের।

উপজেলা ভাওয়াল ইউনিয়নের পুরুরা সাধুপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও মনির মোল্যা বলেন, পাটকাঠি আমাদের গ্রামঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। মাটির চুলায় রান্নার প্রধান জ¦ালানি হিসেবে পাটকাঠির ব্যবহার করি। আর পাটকাঠির পুড়া ছাই ব্যবহার করা হয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজে। ঘর ও বাড়ির প্রাচিন ঘিরে রাখার কাজেও পাটকাঠি অনেকে ব্যবহার করেন। তারা আরও বলেন, সালথায় দুটি পাটকাঠির মিল রয়েছে। সেই মিল থেকে ক্রেতা এসে আসানুরূপ দামে কিনে নেয়। এতে এবার পাটকাঠি বিক্রি করে পাটের লোকসানও অনেকটা পুষিয়ে যাবে। পাটের পাশাপাশি পাটকাঠিরও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার বাড়ায় একই ফসলে আমাদের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। এতে আমরা আনন্দিত। আমরা প্রতিআঁটি পাটকাঠির দাম পাবো পাঁচ টাকা: প্রতিবিঘা জমিতে বাড়তি আয় হবে ১০ হাজার টাকা!

সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জীবাংশু দাস বলেন, জ¦ালানী হিসেবে, বাড়িঘর ও সবজি ক্ষেতের বেড়া, মাচা, পান বরজ, ইত্যাদি কাজে পাটকাঠির ব্যবহার দীর্ঘকাল আগে থেকেই হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্যাপক হারে পার্টিকেল বোর্ড তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে পাটকাঠি। পাটখড়ি বা পাটকাঠির কার্বন চারকোল নামে পরিচিত। চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাটকাঠি পুড়িয়ে পাওয়া কার্বন থেকে আতশবাজি, কার্বন পেপার, প্রিন্টার ও ফটোকপিয়ারের কালি, মোবাইলের ব্যাটারি, দাঁত পরিস্কারের ওষুধ ও সারসহ নানা পণ্য তৈরি করা হয়। তাছাড়া পাটকাঠি থেকে একটিভেটেড কার্বন ও উৎপাদন করা হয় যা ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্লান্টে ব্যবহার করা হয়। এসব কারখানা অত্র এলাকায় স্থাপন করা গেলে পাটের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION