স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সালথায় ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, অগ্নিসংযোগসহ যে ব্যাপক ধংসযজ্ঞের ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতা-কর্মীসহ ৪৮৮ জনকে আসামি করে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত।একই সাথে আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। রবিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছার এ আদেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতে পুলিশের জিআরও শ্যামল মিত্র বলেন, এ মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন। এছাড়া ১৭৯ জন আদালতের নির্দেশে জামিনে আছেন। এর বাইরে যে সব আসামি রয়েছেন তাদের পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশের জিআরও শ্যামল মিত্র আরও বলেন, সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বরবে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আছেন। তাকে এ মামলায় আগেই শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে। আজ রবিবার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার সময় ওদুদ মাতুব্বর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হওয়ার পর এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ওদুদ মাতুব্বরের জামিনের আবেদন জানানো হলে আদালত তা নাকচ করে দেন। গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সালথার এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির গাড়ি থেকে আনসার সদস্য নেমে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে কয়েকজন ব্যাক্তিকে মারপিট করে। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত হাজার হাজার লোক তান্ডব চালায় সালথা উপজেলা কমপ্লেক্স ও সংলগ্ন এলাকায়। ওই ঘটনার ১৪ মাস পর গত ২০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম।
ওই অভিযোগপত্রে বলা হয় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের অবৈধ দখল থেকে সরকারি খাস জমি উদ্ধারের পুঞ্জিভূত ক্ষোভকে পুজি করে বিভিন্ন গুজব রটিয়ে ও প্রচার করে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস ও সালথা থানায় সহিংস তান্ডবের ঘটানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদ ভবনসহ আশেপাশের ভবনে সহিংস তান্ডব, ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় ৪৮৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। যে ৪৮৮ জনকে অভিযুক্ত করে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সালথা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ওদুদ মাতুব্বর (৪২), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওহিদুজ্জামান মোল্লা (৩৯) ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মাতুব্বর (৪৫), সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী রয়েছেন।
Leave a Reply