হারুন-অর-রশীদ : গণহত্যা দিবসে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় মোমবাতি প্রজ্বলন করতে জুতা পায়ে দিয়ে বদ্ধভূমি গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে উঠার অভিযোগ উঠেছে এস,এম মেহেদী হাসান নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সে সাবেক ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা যায়। এঘটনার পর থেকে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মেহেদী ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমার আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর ফকিরের ছেলে বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় গণহত্যা দিবসে মেহেদী উপজেলার কোদালিয়া বদ্ধভূমি গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে তার পায়ে জুতা দেখা যায়। এ সময় তার সহযোগীসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মহিলা লীগের কিছু নেতাকর্মীদের তার সাথে বদ্ধভূমি গণকবর স্মৃতিস্তম্ভ উঠতে দেখা গেছে। তবে মেহেদী বাদে অন্য সবাই খালি পায়ে ছিলেন। একদিকে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শ্রদ্ধা অন্যদিকে অবাধে জুতা পায়ে বদ্ধভূমি গণকবর স্মৃতিস্তম্ভ ওঠায় শহীদদের কতটুকু মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে এসকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্যেশ্য প্রণোদিত দাবী করে এস,এম মেহেদী হাসান বলেন, ওইটা জুতা ছিলোনা, সেটা ছিলো সর্ট মুজা। দেখতে অনেকটা জুতার মতো। সে বলেন, এগুলো নতুন বাজারে এসেছে। তাইতো এরকম আরো চার জোড়া মুজা আমি ঢাকা থেকে কিনেছি। যা নিয়মিত পায়ে দেই। তিনি আরও বলেন, আমি সচেতন নাগরিক ;তাই কোথায় জুতা পায়ে দিয়ে যাওয়া যাবে আর কোথায় যাবেনা এই কথা ভালো করেই জানি। একটা কুচক্রী রাজনৈতিক মহল কিছুটা ফায়দা নিতেই এ গুজব ছড়াচ্ছে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এব্যাপারে নগরকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চয়ন কুমার মন্ডল বলেন, সবাই যেটা জুতা বলছেন, আসলে সেটা জুতা নয়। ওইটা এক ধরনের সর্ট মুজা। এই ছাত্রলীগ নেতা দাবী করেন, সে নিজেও ওই বদ্ধভূমি গণকবর স্মৃতিস্তম্ভ ছিলেন। সে নিজেও দেখেছে সেটা মুজা। দেখতে অনেকটা জুতার মতো। এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Leave a Reply