স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর পৌরসভাসহ দেশের অন্যান্য পৌরসভার নাগরিক সেবা ডিজিটাল করার লক্ষ নিয়ে কোরিয়ার সংস্থা কোয়েকার একটি প্রতিনিধি দলের সাথে পৌর কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ মে মার্চ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর পৌর সভার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো.ফারুক হোসেন। এ ছাড়াও কোরিয়ার সংস্থা কোয়েকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর তাহারকিমসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কোয়েকার একটি প্রতিনিধিদল ও ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, বগুড়া, নাটোর, পৌর সভার কর্মকর্তাগণ সভায় অংশ নেন।
এ সময় সভায় জানানো হয়, কোরিয়ার সংস্থা কোয়েকা পৌরসভার বিভিন্ন সেবা ডিজিটাল করার জন্য কাজ করছে। দেশে মোট ৩২৮ টি পৌর সভার অভিন্ন ১০ টি কার্যক্রম নিয়ে এ ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ সময় বিভিন্ন পৌরসভা থেকে আগত কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন। সভায় বক্তারা বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মানে কাজ করছে। পৌরসভার সেবা গুলি ডিজিটাল করা হচ্ছে।
ডিজিটাল হওয়ার মানে কম্পিউটারে বিল প্রদান করা নয়, ডিজিটাল হওয়ার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে কোন ভোগান্তি ছাড়া গ্রাহককে সেবা তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। সভায় জানানো হয় ২০২২ সালে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ডিজিটাল পদ্ধিতিতে ফরিদপুর পৌরসভা ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৪ টি সেবা দিয়ে ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছে। ওই সময়ে দেশের সব পৌরসভা মিলে ২ লাখ ৫২ হাজার ৪১৪টি সেবা দিয়ে আয় করেছে ৩০ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ওই হিসেবে দেখা যায় ডিজিটাল কার্মকান্ডে ফরিদপুর পৌরসভা অনেক এগিয়ে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। দিনে দিনে আমাদের প্রযুক্তির প্রতি বেশি নির্ভরশীল হতে হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে এবং আর্থিক ক্ষতি কমে আসবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামি জুনের মধ্যে ফরিদপুর পৌরসভার সিংহভাগ সেবা ডিজিটাল করতে কোয়েকা সাহায্য করবে। এ সময় ফরিদপুর পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আলম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান মিয়া, আইসিটি বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মোহাম্মদ জাহিদ ইবনে আমিন, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসম জাহাঙ্গীর চৌধুরীসহ ফরিদপুর সভার অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply