স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পরিবারের নারী ও শিশুসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে উচ্ছেদ আতংকে সময় পার করছেন জমির মালিক আলেয়া বেগমের পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি স্থানীয় প্রভাবশালী প্রতিবেশী কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ আলেয়া বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের। এরই মধ্যে একদফা হামলার পর ফের হামলা ও বাড়ীঘর থেকে উচ্ছেদের শংকায় রয়েছেন তারা।
বোয়ালমারী পৌরসভার ১০৪ নং শিবপুর মৌজার হাল দাগ ২৭২৯ নং দাগের ক্রয়কৃত পাঁচ শতাংশ জমিতে ওই প্রভাবশালী প্রতিবেশী বাড়িটি ভাড়া দেওয়ার জন্য সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে জানিয়ে জমির মালিক দাবীদার আলেয়া বেগম বলেন, আমি ২০০৯ সালে বায়না মূলে মোজাহার মোল্যার কাছ থেকে জমি ক্রয় করি। এরপর ২০১৭ সালে বিজ্ঞ জেলা জজ ১ম আদালতের দেওয়ানী ৩২/২০০৯ নং মোকদ্দমার রায় ডিক্রি অনুসারে খোশ কবলা দলিলের মুসাবিদা ক্রমিক নং ১৫১৮ যার দলিল নং ১৫১৭ মূলে জমি ক্রয় করি। তিনি জানান, কয়েক বছর ধরে এই জমি থেকে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা আমাকে নানা ভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৭ মার্চ রাতে আমার বাড়িতে শতাধিক মানুষ নিয়ে তারা (গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা) হামলা চালালে আমরা পুলিশে ফোন করলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার সংবাদে তারা দ্রুত চলে যায়। তিনি বলেন, আমার বর্তমান বসত ঘর সংলগ্ন পাশের দাগের আরো দেড় শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলাম, যে জমিটি এরই মধ্যে দখল করে দেয়াল নির্মাণ করে নিয়েছে তারা (গাজী কামরুজ্জামান টোকন গংরা)।
ওই নারী আরো দাবী করেন, যেকোন সময় প্রভাবশালী গাজী কামরুজ্জামান টোকন তার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের পরিবারসহ উচ্ছেদ করে দিতে পারে। ওই নারী প্রশাসনের নিকট সহায়তা কামনা করেন।
যদিও এ ব্যাপারে গাজী কামরুজ্জামান টোকন তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের হামলার ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ মনগড়া। তিনি জানান, ২৭২৯ নং দাগে মোট ২৯ শতাংশ জমি রয়েছে। আলেয়া আমার জমি দখল করে ঘর তুলে ভোগ দখলে রয়েছে। তারা জমির দলিল করলেও আইনগত বৈধতা না থাকায় এখন পর্যন্ত মিউটেশন করতে পারেনি। জমির দলিল থাকলেও আইনগত ভাবে তারা জমি পাবেনা এখানে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষই প্রতিনিয়ত জমি নিয়ে ঝামেলায় লিপ্ত হন। মানবিক পুলিশ হিসেবে প্রতি মূহুর্তে কল পেলেই সেখানে যাচ্ছি আমরা। জমির বিষয়টি আদালতে ফয়সালা হবে, তবে আইন শৃংখলার কোন অবনিত না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রেখেছি। #
Leave a Reply