স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ ও থানাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ঘটানো তান্ডব পরিকল্পিত ছিলোনা বলে দাবী করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সামা ওবায়েদ রিংকু। শনিবার দুপুরে জেলার একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আকষ্মিক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তেব্য দানকালে তিনি এ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, প্রশাসন ফরিদপুরের সালথার সহিংস ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্ঠা চালাচ্ছে প্রশাসন, প্রকৃত হামলাকারীদের বাদ দিয়ে তারা বিএনপি এবং হেফাজতকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছে। করোনার কারণে বিএনপি’র রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন সালথার বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে উদ্ধেশ্য প্রনোদিতভাবে মামলার আসামী করছে। বিএনপি হেফাজতের কোন কর্মকান্ডোর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে নাই।
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা, যুবদল সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক যুবদল সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ সহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সহযোগী সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে সালথায় পুলিশের সাথে হাজার হাজার জনতার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় তারা প্রথমে থানা ঘেরাও সরকারি বিভিন্ন কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে দুজন নিহত হয়। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি ও পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এঘটনায় গত ৫ তারিখের ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সব মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৬১ জনের নাম উল্লেখ করে চার হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে।
নতুন যে চারটি মামলা হয়েছে তার একটি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মাতুব্বর। এ মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলা করেছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোহাম্মাদ হাসিব সরকারের গাড়িচালক মো. হাশমত আলী। এই মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩ থেকে ৪ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলাটি করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী সমীর বিশ্বাস। এ মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৩ থেকে ৪ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আরেকটি মামলাটি করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনারের(ভূমি) গাড়িচালক মো. সাগর সিকদার। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে তিন থেকে চার হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সালথা থানার এস আই (উপ পরিদর্শক) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় চার হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে থানায় হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে প্রথম মামলাটি করেন। #
Leave a Reply