স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে ১৭ বছরের এক কিশোর শাহেদ হত্যা মামলার আসামী ইব্রাহিম মোল্লাকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরের শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। আসামী এসময় আদালতে উপস্থিত ছিল। ওই রায়ে আদালত ইব্রাহিম মোল্লাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের আটক আদেশ বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা মুলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্লা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামের জসিম মোল্লার মেয়ের সাথে প্রতিবেশি সৌদি প্রবাসীর ছেলে শাহেদ শেখের সাথে কথা বলা কে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারী দুপুর ১২ টার দিকে নিহত শাহেদ বাড়ীর পাশের মুদির দোকানে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় মেয়েটির পরিবারের লোকজন লোহার রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে শাহেদের মাথা ফেটে গুরুত্বর আহত হয়।
আহত শাহেদকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থা অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন রাতে সে মারা যায়। এই ঘটনায় নিহতের খালু লিটন খান বাদী হয়ে ওই ইব্রাহিম মোল্লাসহ ৭ জনকে আসামি করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আলফাডাঙ্গা থানার এসআই মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২০২২ সালের ২৮ শে জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমাদেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পি পি স্বপন পাল জানান, ঘটনার সময় ইব্রাহিম মোল্লার বয়স ছিল ১৭।এজন্য শিশু আইনে তাকে বিচার করা হয়। মামলাচলাকালীন সময়ে ইব্রাহিম মোল্লাকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়। তবে ইতিমধ্যে ইব্রাহিমের বয়স বেড়ে ১৯ বছর হওয়ায় তাকে কারাগারে পাটানোর আদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক। পিপি স্বপন পাল আরও জানান, এ হত্যাকন্ড সংঘটিত হওয়ার সময় মামলায় বাকি আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। এজন্য তাদের বিচার কাজ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলমান রয়েছে।
Leave a Reply