স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সিগারেটের প্যাকেট বদলে না দেয়ায় ফাস্টফুডের এক দোকানদারকে দোকান থেকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে গারদে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই দোকানদারকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই পরিবার সুবিচার দাবি করেছেন। জানাগেছে, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সামনে ফাস্টফুডের দোকান পরিচালনা করেন আব্দুর রব মোল্যা।
গত মঙ্গলবার বিকেলে চরভদ্রাসন থানার এএসআই শিমন খান তার দোকানে এসে কুড়ি শলাকার বড় এক প্যাকেট ব্যানসন সিগারেট বদলে দশ শলাকার দুটি ছোট প্যাকেট দিতে বলে। কিন্তু দোকানে মজুত না থাকায় তিনি তার চাহিদা মতো সিগারেটের প্যাকেট বদলে দিতে পারেননি। এসময় এএসআই শিমন খাঁন তাকে পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এর পরের দিন বুধবার দুপুরে এএসআই শিমন খান, এসআই ইব্রাহিম ও তাদের আরেক সহযোগী সাব্বির হোসেন তার দোকানে এসে তাকে মারতে মারতে দোকান থেকে বের করে।
সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে গারদে আটকে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভেগী ও তার পরিবারের সদস্যদের। এসময় তার কাছে পঞ্চাশ হাজার চাঁদাও দাবী করা হয় বলেও দাবী করেন তারা। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা থানায় গিয়ে তাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে। এঘটনার পর আহতাবস্থায় রব মোল্লাকে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রথমে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রব মোল্যা জানান, ওই দুই পুলিশ সদস্য আকষ্মিকভাবে আমাকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় এবং থানায় নিয়েও মারধর করে আমাকে। এস আই সাব্বির অনেক বেশী মারধর করে এবং এস আই শিমন ৫০ হাজার টাকাও দাবী করেন। তিনি জানান এখনো তিনি সুস্থ নন। দোকানের কর্মচারী রাজু মিয়া জানান, সিগারেটের প্যাকেট বদল করে না দেয়ায় ক্ষুব্দ হয়েই এ কান্ড ঘটান দুই পুলিশ সদস্য।
এঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জানিয়ে আব্দুর রবের স্ত্রী সাবিনা বেগম নির্যাতনের মাত্রা এতোটা ছিলো যে সে উঠে দাড়াতেও পারছিলেন না। এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবী করেন তিনি। অপরদিকে ঘটনাটি শুনেছেন জানিয়ে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সেলিম রেজা বলেন, ঘটনাটি দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা হয়ে গেছে।
Leave a Reply