এস এম রুবেল, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মামলার বাদী কবির হোসেনকে চাঁদাবাজি মামলার আসামী পক্ষ আটকে রেখে আদালতে যেতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার সকাল ৯টায় সাতৈর বাজার আলিম মেম্বারের ঘরে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বাদী কবির হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলতি বছরের ২১ ফেব্রæয়ারী কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমার দোকানে এসে চাঁদার টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে তারা আমার দোকান ঘর ভাঙচুর করে টাকা পয়সা ও মালামাল লুট করে দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এ নিয়ে ২১ ফেব্রæয়ারী বোয়ালমারী থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় ১নং আসামী সৈয়দ খায়রুল ও ২ নং হামিদুর রহমান রানা শেখসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৭ জুন সে চাঁদাবাজি মামলার আদালতে দিন ধার্য্য ছিল। ফরিদপুর আদালতে হাজির হতে সাতৈর বাজার থেকে হ্যাপি পপি নামের লোকাল বাসে করে যাওয়ার সময় কানাইপুর বাজারের পরে গঙ্গাবর্দী এলাকায় পৌঁছালে লোকাল বাসটি থামিয়ে চোর বলে আমাকে নামিয়ে বেধরক মারপিট করে চোখ আটকিয়ে নির্জন জঙ্গলে বেঁধে রাখে চাঁদাবাজি মামলার তিন আসামীসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন দূর্বৃত্তকারীরা। আসামীদের মধ্যে ছিলেন, সৈয়দ খায়রুল, হামিদুর রহমান রানা শেখ, মো. হাসান শেখ। এ সময় দুর্বৃত্তকারীরা আমাকে বেঁধে রেখে মারধর করে স্বীকার করান আমি গ্যাস সিলিন্ডার চোর, মাদক সেবনকারীসহ অন্যান্য অপরাধের সাথে জরিত হওয়ার কথা।
নিজেকে আত্মরক্ষার্থে তাদের এসকল মিথ্যা কথায় সাড়া দেয়। তখন তারা সেটাকে মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারন করেন। এ কারণে আসামীরা নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে পৌঁছালে আমি পৌঁছাতে পারিনি। পরে বিকেলে আমাদের সাতৈর ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ শফিকুল আজম মাকুল কানাইপুর বাজার থেকে আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সৈয়দ শফিকুল আজম মাকুল বলেন, খবর পেয়ে কানাইপুর বাজারে গিয়ে কবির নামরে ওই ছেলেকে তাদেও বাড়িতে নিয়ে আসি। তবে যারা তাকে আটকিয়ে রেখেছিল তাদের কাইকে চিনতে পরিনি। মনে হলো কানাইপুরেই তাদেও বাড়ি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মামলার বাদী মো. কবির হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার আব্দুল আলিম শেখ, শাহজাহান শেখ, তাজুল ইসলাম, মামরুল শেখ, জাফর শেখ প্রমুখ।
Leave a Reply