স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের “কাটাগড় হাট” সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে একশ ছয় শতাংশ অধিক মুল্যে ইজারা নিয়েও খাজনা আদায় করতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ওই ঠিকাদারের অভিযোগ, প্রতিদন্দি ও রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লোকজন নানাভাবে খাজনা আদায়ে বাঁধার সৃষ্টি করছেন।
ঠিকাদার প্রতিনিধি মো. সোহাগ জানান, গত ১৮ মে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ছয় লাখ ৮২ হাজার টাকায় কাটাগড় হাটের ইজারা পান মো. আকরাম হোসেন। ওই হাটের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূূল্য ছিলো ছয় হাজার তিনশ সাত চল্লিশ টাকা। ঠিকাদার প্রতিনিধির অভিযোগ, ইজারা পাওয়ার পর খাজনা তুলতে গেলে রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজিজার রহমান মোল্লার অনুগত কাটাগড় বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু মিয়া, সোবহান মোল্লা, হাফিজুর রহমান ও আলমসহ কয়েকজন বাঁধা সৃষ্টি করেন। ফলে অদ্যবদি খাজনা তোলা সম্ভব হয়নি। এতে ঠিকাদার পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দাবী করেন তিনি। ঠিকাদার প্রতিনিধি আরো দাবী করেন, দীর্ঘদিন ওই হাটটি স্থানীয় চেয়ারম্যান কুক্ষিগত করে নাম মাত্র মূল্যে ভোগ করে আসছিলেন, কিন্তু এবছর ন্যায্য মূল্যে মো. আকরাম হোসেন দরপত্র দাখিল করে ইজারা পাওয়ায় ক্ষুব্দ হন তিনি (চেয়ারম্যান)।
অপরদিকে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বলেন, সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার হাট বসা কাটাগড় হাট থেকে অদ্যবদি খাজনা আদায়ের রেওয়াজ না থাকায় এবছর খাজনা আদায় করতে আসায় স্থানীয়রা ক্ষুব্দ, এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি উপজেলা হাট-বাজার ইজারা কমিটির সদস্য হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে ওই হাঁটটি বুঝিয়ে দিতে বললেও স্থানীয়দের বিরোধিতার কারনে সমস্যায় পড়েছি। চেষ্টা করবো আগামী মঙ্গলবার ইজারাদার পক্ষকে হাঁটটি বুঝিয়ে দেয়ার।
এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হওয়ায় হাটের ইজারার চিঠি মো. আকরাম হোসেনকে দেয়া হয়েছে। মূল্য তালিকা তৈরি করেও তা অনুমোদনের জন্যে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, ইজারাদারকে খাজনা আদায়ে বাঁধা সৃষ্টি করার সুযোগ নেই, তারপরও যদি কেউ বাঁধা সৃষ্টি করে, তা লিখিতভাবে ইজারাদার পক্ষ জানালে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। অবিলম্বে এ হাঁট ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। #
Leave a Reply