স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগ (২২) হত্যা মামলার আসামি মো. টিপু খা (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল। সোমবার দুপুরে ফরিদপুর র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইক আকতার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। র্যাব জানায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুর সদরের কোমরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি টিপু খাকে গ্রেপ্তার করা হয়। টিপু খান ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ধুলদী এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিপু খা এ হত্যাকান্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফরিদপুর অম্বিকাপুর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে আসাদুজ্জামানের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের বা হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। এ হত্যার ঘটনায় নিহত আসাদুজ্জামানের বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার (৬৭) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মো. টিপুসহ ৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের কলেজ ছাত্র আসাদুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
হত্যাকারীরা ওই দিন (১১ অক্টোবর) বিকেলে মীমাংশার কথা বলে বাসা থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তাকে ফোন দিয়ে কোন সারা না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজিখুঁজি করার এক পর্যায় আসাদুজ্জামানের বড় ভাই মো. আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, মো. টিপু খা (৩৫)সহ ৯-১০ জন লোক মিলে একটি বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে উল্লাস করছে এবং নিকটবর্তী গোবিন্দপুর এলাকার একটি মেহগনি ও কলা বাগানে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ভিকটিমের বড় ভাই স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘটনার দিন ১১/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ১৮:৪০ ঘটিকায় উল্লেখিত মেহগনি ও কলা বাগানে গিয়ে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত এবং বাম হাতের কনুইয়ের একটু উপর হতে হাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভিকটিম তুরাগের লাশ দেখতে পায় এবং বিচ্ছিন্ন হাতটি লাশের আশপাশের কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ হত্যার ঘটনায় এর আগে আক্কাস জমাদ্দার (৩৫) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply