স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরে হাজারো মানুষের শেষ শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় চিরবিদায় দেয়া হলো বেসরকারি টেলিভিশন বৈশাখী টিভি ও দৈনিক সংবাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি সাংবাদিক কে এম রুবেলকে। শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে হাজারো মানুষের চোখের জলে তাঁকে জানাজা শেষে সমাহিত করা হয়।
এর আগে সে শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ১২ টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
এদিকে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে তাকে তার প্রিয় সংগঠন ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়।
এসময় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ, নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকারসহ ফরিদপুরে কর্মরত সংবাদকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাদ জোহর জেলা সদরের বায়তুল আমান এলাকার আরামবাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে সাংবাদিক রুবেলের মৃত্যুতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন, ফরিদপুর পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সাংবাদিক কে,এম রুবেল দীর্ঘদিন যাবত বৈশাখী টেলিভিশনে এবং দৈনিক সংবাদের ফরিদপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ফরিদপুর ডায়বেটিক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র রেখে যান। রাতে তার লাশ ডায়বেটিক হাসাপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।
সাংবাদিক রুবেলের পুত্র কাজী লামীম ইসলাম জানান, রাতে খাবার খান তার বাবা। এরপর রাত ১০টার দিকে তিনি বুকে ও হাতে পায়ে ব্যথা অনুভব করলে মায়ের সাথে পরামর্শ করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনেন মোবাইল ফোন করে। এরপর বাসা হতে হেটে হেটে বের হয়ে বায়তুল আমান বাজার পর্যন্ত এসে অ্যাম্বুলেন্সে উঠে হাসপাতালে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর মারা যান তিনি।
শহরের বায়তুল আমান মহল্লার মরহুম কাজী সিরাজুল ইসলামের সন্তান ছিলেন কে এম রুবেল। তার পুরো নাম কাজী মো: রুবেল। দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর যাবত তিনি ফরিদপুর জেলা সদর থেকে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। এর আগে তিনি বাংলাবাজার পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
তার বড় ছেলে কাজী তামিম ইসলাম ফরিদপুর কৃষি ইন্সটিটিউটে কৃষি ডিপ্লোমার ৫ম বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে কাজী লামীম ইসলাম ফরিদপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের নিউ টেনের ছাত্র। তার বৃদ্ধা মা হাসিনা বেগম (৮০) শারিরীকভাবে অসুস্থ। #
Leave a Reply