1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের তিন প্রবাসী নিহত : লাশ দেশে পাঠানোর আকুতি স্বজনদের - আজকের ফরিদপুর
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের তিন প্রবাসী নিহত : লাশ দেশে পাঠানোর আকুতি স্বজনদের

  • Update Time : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩১৩ জন পঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের তিন প্রবাসী নিহত : লাশ দেশে পাঠানোর আকুতি স্বজনদের
সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদপুরের তিন প্রবাসী নিহত : লাশ দেশে পাঠানোর আকুতি স্বজনদের

স্টাফ রিপোর্টার : সৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশের একটি পরিবারের বাবা, ছেলে ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে স্ত্রী ও বড় মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় নিহত মোবারক হোসেনের বাড়ি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ চরকমলাপুরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার বৃদ্ধা মা অসুস্থ আলেয়া বেগম এ খবর জানার পর থেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)। তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্য রওনা হন। ওমরাহ্‌ পালন শেষে শনিবার (৫ আগস্ট) সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন।

পথে আল-কাসিম নামক স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকী দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত সৌদি প্রবাসী মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে।

তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী। মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন । সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে। প্রায় ৩০ বছর সৌদিআরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা তারা। দুর্ঘটনার পর তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদেশে অবস্থানকরা তাদের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরপর থেকেই ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশেপাশের পরিবেশ। বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নদীভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে চরভদ্রাসনের গ্রামের বাড়ি ছেড়ে এখন বসবাস করছেন ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুরে। নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল। তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়। তিনি বলেন, আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেছে এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কি বলবো। একথা বলে অনেকটা বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

তিনি জানান, ফোরম্যানের চাকরি নিয়ে মোবারক হোসেন সৌদি আরবে যান। পরে সেখানে গাড়ির গ্যারেজ খুলেন। নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরেরদিন ওমরাহ করতে যাবেন। তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়ার কথা ছিল আর বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা স্বপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিলো তাদের সাথে শেষ কথা।

এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘন্টা পরে তারা জানতে পারেন গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি। তিনি জানান, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে দেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদিআরব এ। এছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশটি যেনো সরকার দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION