1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সালথায় নেই নির্বাচনী আমেজ : আদালতে ঝুলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্য - আজকের ফরিদপুর
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

সালথায় নেই নির্বাচনী আমেজ : আদালতে ঝুলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্য

  • Update Time : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
  • ২৩৭ জন পঠিত
সালথায় নেই নির্বাচনী আমেজ : আদালতে ঝুলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্য
সালথায় নেই নির্বাচনী আমেজ : আদালতে ঝুলছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগ্য

স্টাফ রিপোর্টার : তৃতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় সালথা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার ২১ মে। সে হিসেবে সময় আছে আর মাত্র তিন দিন। প্রার্থীরা প্রচারণার সুযোগ পাবেন রবিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। সে হিসেবে প্রচারণার সময় আছে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এ অবস্থায় সালথা উপজেলাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চেয়ারম্যান পদে এ উপজেলায় নির্বাচন হবে কি হবে না। নির্বাচন হবে নাকি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এ উপজেলার আগামী দিনের কর্ণধার। মানুষের এ ভাবনার একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। গত ২১ এপ্রিল ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

এ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থয় মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের শাহদাব আকবর ওরফে লাবু সমর্থিত। ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান হন ওয়াদুদ। ওয়াদুদের পিছনে শাহদাবের আশীর্বাদ ছিল বলেই তার বিজয় নিশ্চিত হয় বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

এবার অপর যে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি হলেন মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি ওয়াদুদ মাতুব্বরের আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে নিজ স্ত্রীর নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটানিং কর্মকর্তা। পরে ওয়াদুদ জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও তার মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পাননি। এ অবস্থায় গত ২ মে ওয়াহিদুজ্জামানকে বিনাপ্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটানিং কর্মকর্তা ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেরা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবির। মনোনয়ন ফিরে পেতে হাইকোর্টে রীট আবেদন করেন ওয়াদুদ মাতুব্বর।

গত ১৩ মে সোমবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ওয়াদুদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। এর দুই দিন পর বুধবার (১৫ মে) বিকেলে দুই প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওয়াদুদ আনারাস ও ওয়াহিদুজ্জামান মোটরসাইকেল প্রতীক পান। তবে ওয়াদুদের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন ওয়াহিদুজ্জামান। ওই রিভিউ আবেদন গ্রহন করে আজ রবিবার (১৯ মে) শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। রিভিউ আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ রায়হান।

এ কারণে সালথায় নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। চায়ের দোকানেও চলছে না ভোটারদের আড্ডা। গতকাল শনিবার ওয়াদুদ মাতুব্বরের আনারস প্রতীকের পোস্টার টানানো হলেও ওয়াহিদুজ্জামানের কোন পোস্টার ঝুলতে দেখা যায়নি। ঢাকার উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন ভোটাররা। শেষ মুহূর্তে কি হয় এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তাতেও যেন নির্বাচনী আমেজ ফিরছে না। মফিকুল ইসলাম নামে সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়ার গ্রামের বাসিন্দা বলেন, গত নির্বাচনে প্রার্থীদের যন্ত্রনায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। হাট-বাজার যেখানে গেছি, কোনো না কোনো প্রার্থীর সাথে দেখা হয়েছে।

কেউ ভোট চেয়েছে কেউ বা চা খাওয়ার জন্য বলেছে। আমাদের আদরের শেষ ছিল না। কিন্তু এবার কেউ এসে ভোটটা পর্যন্ত চাইলো না। রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুজ্জামান খান বলেন, বরাবরের মত এবারও তিনি নির্বাচনে ডিউটি করবেন। তবে নির্বাচনে প্রার্থীরা সরব থাকলে একটা জমজমাট পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এবার তার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এলাকার ভোটারদের সাথে আলাপ করে দেখা গেছে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার পর তার পক্ষে গ্রাম গঞ্জে প্রচারণা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনে ওহিদুজ্জামান কিংবা তার সমর্থকদের কোন প্রচারণা চোখে পড়ছে না।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, আমি নির্বাচনে জনগণের রায়ে ভয় পাই না। যারা জনগণকে ভয় পায় তারাই ষড়ন্ত্র করে আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রেখে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হতে চান। তবে তাদের সে আশা পূরণ হবে না। সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আমি জনগণের ভোটে পুণরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। অপর প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, তিনি আশাবাদী সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রবিবার তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।

নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়ে তিনি বলেন, তার কর্মী সমর্থকদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার পরিবেশ অকারণে উত্তেজনাকর করে তোলা হয়েছে। এ অবস্থায় তার নির্বচনী প্রচারণা কঠিন হয়ে পড়েছে। সালথার রিটানিং কর্মকর্তা ও ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াসিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে উভয় প্রার্থীর চাহিদা অনুযায়ী তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন যদি মহামান্য হাইকোর্ট নতুন করে কোনো নির্দেশনা দেন সে অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION