স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সালথা থানা পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ১১টি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের চৌরাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সালথা থানার পুলিশ।
এ ঘটনায় সালথা থানায় ১৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে পুলিশের উপর হামলা, অগ্নি সংযোগ ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে গতকাল রবিবার সকালে সালথা থানায়। সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল কুমার বিশ^াস রবিবার দুপুরে জানান, হরতালের সমর্থনে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সালথা বাইপাস সড়কে চৌরাস্তা মোড়ে মিছিল করে বিএনপির সমর্থকরা। তারা সড়কের উপর টায়ার ও বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ছবিসহ ব্যানার জ¦ালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় অন্তত ৪টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা।
এতে ছয় জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ শর্টগানের ১১ টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসআই পরিমল কুমার বিশ^াস আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৬টি কাতরা, ২টি রামদা, রড ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে। এরা হলেন, সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল শেখ (৩৫) ও বিএনপি কর্মী সোহেল শেখ (২৮)। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলের আশপাশের তিন বাসিন্দা জানান, রাতে তারা ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। কিন্তু মিছিল হয়েছে বলে কোন ঘটনার কথা শোনেননি কিংবা দেখেননি। সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, পুলিশ যে ঘটনার কথা বলছে তা আমাদের অজানা।
স্থানীয় বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা গত ৩ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছে। তাছাড়া বিএনপির উদ্যোগে রাতে কোন মিছিল কিংবা কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পুলিশ জানায় এ হামলার ঘটনায় এসআই ফরহাদ, এএসআই লিয়াকত ও শহীদুল ইসলাম এবং কনস্টেবল রুবেল, রাজীব ও আতিক আহত হন। তারা নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সহকারি পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সালথা থানা পুলিশের এস আই পরিমল কুমার বিশ^াস বাদী হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া রেজাউল ও সোহেলসহ ১৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে পুলিশের উপর হামলা, অগ্নি সংযোগ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
Leave a Reply