মোঃ সরোয়ার হোসেন : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া ও চৌকিঘাটা গ্রামবাসীর মাঝে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্রামের নারী পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন গ্রামমবাসী আহত হয়েছে। এ সময় ঘারুয়া বাজারের একটি দোকান ও একটি বাড়িতে ভাংচুর করার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত সৈয়দ আলী(৩২),মামুন(২২),চুন্নু (৪০), জনি(২৮), মাইনদ্দিন(৩৫), হারেজ(৩৬) ও বিকাশ(৩৬)কে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি ও অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে এই সংঘর্ষ বাধেঁ। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত কাল মঙ্গলবার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে রমজান মাতুব্বরের একটি কনফেকশনারী দোকান রয়েছে। সেই দোকানে ঘারুয়া (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের চুন্নু মাতুব্বরের ছেলে ইমন সিগারেট ধরাতে ম্যাচ দিতে বলেন। তখন দোকানদার ম্যাচ দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই জনের মাঝে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় বুধবার সকালে ঘারুয়া ই্উনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা মিমাংসার প্রস্তাব দেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত রমজান প্রতিপক্ষ ইমনের বাড়ির সামনে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষ বাধে।পরে সফিউদ্দিন মোল্লার কথা অমান্য করে উভয় দলই মাইকে ঘোষনা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বাজারের উত্তরপাড়ার লোকজন চৌকিঘাটা গ্রাম ও বাজারের দক্ষিণপাড়ার পক্ষে যোগ দেয় । উভয় গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল, শড়কি, কাতরা, টেটা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বাজারের মাজেদ ফকিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়ি ব্যাপক অংচুর,লুটপাটের শিকার হয় বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। মাজেদ ফকির জানান,তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালিয়ে ২টি তেলের ড্রাম নষ্ট করে,দোকানের মালামাল, আসবাবপত্র ভাংচুর,বাড়িতে রাখা পাটবিক্রির টাকা ও মহিলাদের স্বর্ণালংকার লুটে নেয় প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply