স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় লোকালয়ে একটি মেছো বাঘ দেখা গেছে। বাঘটি দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখা যায়। ফরিদপুর বনবিভাগের কর্মীরা দুই ঘন্টার চেষ্টা করেও বাঘটি ওই গাছ থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার বাঘটি ছিলাধরচর মহল্লার মরহুম হাসেম মিয়ার বাগানের রেইনট্রি গাছে রয়েছে। একটি রেইনট্রি গাছে বাঘটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। মুহূর্তেই খবরটি আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে।
ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড-পূর্ব সদরদী বড় ঘাট আঞ্চলিক সড়কে ৩০০ গজ পূর্ব দিকে একটি রেইট্রি গাছে ওই বাঘটি দেখা যায়। বাঘ দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করে। সকলের দৃষ্টি ওই রেইনট্রি গাছের ডালের দিকে। দেখা যায় রেইনট্রি গাছের আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ ফুট উচ্চতায় গাছের দুই ডালের ফাঁকে বাঘটি রয়েছে। গাছের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে বাঘটির পেছনের অংশ দেখা যায়। বাগানের ভিতরে নেমে সড়কের বিপরীত পাশে দাঁড়ালে বাঘটির মুখের অংশ দেখা যায়। ঘটনাস্থলের পাশেই বাড়ি চা বিক্রেতা নূরুল হক (৪০) এর।
তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি প্রথম বাঘটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন ছুটে আসে। ভাঙ্গা মহিলা কলেজের শিক্ষক অজয় দাস জানান, স্থানীয় এক সাংবাদিক বাঘটি দেখার পরেই ভাঙ্গা দমকল বাহিনীকে জানান। দমকল বাহিনী বিষয়টি বনবিভাগকে জানানোর পরামর্শ দিলে তিনি বন বিভাগকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে বিকাল ৪ টার দিকে বনবিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে বাঘ উদ্ধারের কাজে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু দুই ঘন্টার চেষ্টায় তাদের অভিযান সফল হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন বিভাগ দড়ি দিয়ে যখন বাঘটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছিল তখন বাঘটি আগের জায়গা পরিবর্তন করে লাফ দিয়ে গাছের অন্তত ৫০ ফুট উচ্চতায় চলে যায়। ফলে বন বিভাগের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
এ উদ্ধার অংশ নেওয়া ফরিদপুর বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসের বনপ্রহরী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বাঘটি মেছো বাঘ। আমরা প্রথমে গাছে ওঠে বাঘটি আটকানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় গাছে উঠে যায়। চেষ্টা করে এত উপর থেকে বাঘটি আটকাতে সক্ষম হইনি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রাতে এলাকায় নির্জনতার সুযোগে বাঘটি গাছ থেকে নেমে চলে যেতে পারে।
Leave a Reply