স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্রামুজ্জামান রাজার কুশ পুতুল দাহ করেছেন তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটাযর দিকে কাজী মাহবুবুল্লাহ কলেজ সড়কের শওকত আলী ফকির সেতুতে কর্মসূচি পালন করা হয়। কুশ পুতুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আক্রামুজ্জামান রাজার প্রতিকৃতিতে জুতাপেটা করে। এ সময় আক্রামুজ্জামানের বিচার ও তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত হোসেন।
তিনি বলেন, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্রামুজ্জামান আওয়ামী লীগের গোপনীয়তা ফাঁস করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারিয়েছেন এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে। তিনি বলেন, আক্রামুজ্জামান সব সময় দলের গোপনীয়তা পাচার করেছেন। তার মত এমন বিশ্বাসঘাতক কে বাংলাদেশের কেউ মেনে নিতে পারে না। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সহ বহিষ্কারের দাবি জানাই। এই আক্রামুজ্জামান প্রতিপক্ষ নিক্সন এমপির সঙ্গে আতাত করে চলেছে।
নিক্সন এমপি সাহেবও তাকে চিটার বাটপাড় বলে অভিহিত করেন এবং তাকে ফোন না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন। আক্রামুজ্জামান উপজেলা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারানোর জন্য উঠে পড়ে লাগে এবং ষড়যন্ত্র করতে থাকে গোপনে গোপনে। এমন মীরজাফর কে ভাঙ্গা থেকে বিতাড়িত করা উচিত। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা রাজার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মিছিল ও বিক্ষোভ করেন। পরে তারা রাজার কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
প্রসঙ্গ গত শুক্রবার স্থানীয় ভাঙ্গা সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন ও আক্রামুজ্জামানের একটি অডিও কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফর উল্লাহকে নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেওয়ার গোপনে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়ে ষড়যন্ত্র করার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়।
Leave a Reply