স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের নিয়ম নীতি বদলে গেছে। নতুন নিয়মে যোগ্যরাই শুধু পুলিশে যোগদানের সুযোগ পাবেন। পেছনের দরজা দিয়ে আসার সুযোগ নেই উল্লেখ করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জানান, নতুন সংযোজিত ধাপসহ সকল ধাপ সফলতার সাথে অতিক্রম করেই আধুনিক পুলিশে যোগদান করতে পারবে যে কেউ।
রোববার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান। তিনি আরো জানান, পুলিশ প্রধানের দিক নির্দেশনায় সব ধরণের অণ্যায় অনিয়ম দুর করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুলিশের আসন্ন নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, মো. তরিকুল ইসলামসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসনোট
নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগ সংক্রান্তে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখঃ ২২–০৮–২০২১ খ্রিঃ
“একটা কথা আপনাদের ভুললে চলবে না,
আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ।
আপনারা বিদেশি শোষকদের পুলিশ নন– জনগণের পুলিশ।
আপনাদের কর্তব্য জনগণের সেবা করা,
জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।“
-(বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ জানুয়ারি–১৯৭৫)
স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২৫ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কনস্টেবল পদে নিয়োগের নিয়ম আধুনিকায়নে বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক, আমাদের স্বপ্নযাত্রার অগ্রনায়ক, আধুনিক পুলিশের রূপকার ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের নতুন নিয়ম ও পদ্ধতির প্রবর্তন করেছে। উক্ত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে জেলা পুলিশ, ফরিদপুর নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম হাতে নিয়েছেঃ
১) ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে ডিজিটাল ডিভাইস এবং স্থানীয় কেবল অপারেটরের মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নতুন পদ্ধতি ও তথ্য প্রচার করা হবে। এ সংক্রান্তে জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা, থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে এবং অন্যান্য প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা হবে।
২) কোন দালাল কিংবা প্রতারক চক্র যাতে চাকুরী প্রার্থীদের নিকট হতে প্রতারণা করে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার নাম করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে না পারে, সেজন্য জেলা পুলিশ কঠোর মনিটরিং এর ব্যবস্থা করবে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দালাল প্রতারক কিংবা অসদুপায় অবলম্বনকারী চক্রের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩) দালাল, প্রতারক, অসদুপায় অবলম্বনকারীসহ তদবীরবাজ কিংবা অন্য যে কেউ যাতে চাকুরী প্রার্থীদের প্রতারিত করতে না পারে সেজন্য জেলা পুলিশের একাধিক টিমসহ গোয়েন্দা টিম সার্বক্ষনিক তথ্য সংগ্রহ ও মনিটরিং এর দায়িত্বে থাকবেন। প্রতারকদের বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৪) চাকুরী প্রার্থীদের পরিবারের অস্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেন, জমি–জমা ও মূল্যবান সম্পদ বিক্রয়, অর্থ লেনদেন ও ধার–কর্জ করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৫) অনেক অভিভাবক চাকুরী প্রার্থীদের সাথে মেয়েকে বিবাহ বন্ধনের প্রতিশ্রুতিতে যৌতুক হিসেবে টাকা–পয়সা প্রদান করে থাকেন যা প্রচলিত আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এই বিষয়টি পুলিশী নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।
৬) কোন চাকুরী প্রত্যাশী কারো মাধ্যমে তদবীর কিংবা অসাধু পন্থা অবলম্বন করলে সঙ্গে সঙ্গে ঐ প্রার্থীকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে এবং চাকুরীর নিয়োগের যে কোন পর্যায়ে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তার নিয়োগ বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৭) পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে সকল ধরণের অনৈতিক লেনদেন এবং অবৈধ তদবীর বন্ধের জন্য ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ হতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং, উঠান বৈঠক, অপরাধ দমন সভা, মসজিদ, মন্দির প্রভৃতি সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক প্রচার–প্রচারণা চালানো হবে।
৮) পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্তে কোথাও কোন অনৈতিক লেন–দেন অথবা কোন অবৈধ পন্থা গ্রহনের ঘটনার তথ্য কেউ পুলিশকে প্রদান করলে তাকে পুলিশের পক্ষ হতে পুরস্কৃত করা হবে এবং তথ্য দাতার নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে।
৯) পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্তে অবৈধ লেন–দেন কিংবা প্রতারক চক্রকে ধরার জন্য জেলা পুলিশের বিশেষ টিম সাদা পোশাকে জেলার বিভিন্ন স্থানে নজরদারি করবে।
১০) পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্তে যে কোন ধরনের অসাধু তৎপরতাকে প্রতিহত করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হবে এবং প্রযুক্তিগত মনিটরিং করা হবে।
১১) জেলা পুলিশের তালিকাভূক্ত তদবীরবাজ/দালালদের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে এনে তাদের গতি–বিধি নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে ।
১২) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) মহোদয় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের যে নুতন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির প্রবর্তন করেছেন সেখানে কোন ধরনের অনিয়ম কিংবা কোন চাকুরী প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধা প্রদানের সুযোগ নাই; বিধায় সকলকে যে কোন ধরনের তদবীর কিংবা অবৈধ লেন–দেন করার চেষ্টা না করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদেরকে পরীক্ষায় উত্তীর্নের উপযোগী করে গড়ে তুলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
১৩) পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সংক্রান্তে যে কোন ধরনের তথ্যগত সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রতিটি থানায় ডিউটি অফিসারদের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
১৪) নিয়োগ সংক্রান্তে অবৈধ লেনদেনের যে কোন তথ্য প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ/ইউনিট ইনচার্জদের মোবাইল নাম্বার,
µtbs | _vbvi bvg | ‡Uwj‡dvb b¤^i | ‡gvevBj b¤^i |
01 | Iwm, †KvZqvjx _vbv | 0631/64231 | 01320-097380 |
02 | Iwm, gayLvjx _vbv | 0631/89010 | 01320-097406 |
03 | Iwm, ‡evqvjgvix _vbv | 06324/56121 | 01320-097432 |
04 | Iwm, AvjdvWvsMv _vbv | 0631/63102 | 01320-097458 |
05 | Iwm, Pif`ªvmb _vbv | 0631/89048 | 01320-097484 |
06 | Iwm, m`icyi _vbv | 06328/75444 | 01320-097536 |
07 | Iwm, fvsMv _vbv | 06323/56105 | 01320-097588 |
08 | Iwm, bMiKv›`v _vbv | 06327/56114 | 01320-097510 |
09 | Iwm, mvj_v _vbv | 0631/89096 | 01320-097562 |
10 | Iwm, wWwe, dwi`cyi | 01320-097614 | |
11 | wWAvBI-1, dwi`cyi | 01320-097365 |
জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুম (০১৩২০-০৯৮২৯৮),জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করা যাবে।এ ছাড়া জেলা পুলিশের এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের (https://faridpur.police.gov.bd) ইনবক্সে তথ্য প্রেরণ করা যাবে। উল্লেখ্য প্রতিটি মোবাইল নাম্বারের বিপরীতে WhatsApp চালু আছে।
১৫) এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে সফল করার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মাননীয় সংসদ সদস্য, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ সকল পেশাজীবী এবং সন্মানিত জনগণের সহায়তা নেয়া হবে।
১৬)বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগের লক্ষ্যে পরিবর্তিত আধুনিক নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ০৭(সাত) টি ধাপ অনুসরণ করা হবে। এ গুলো হলোঃ
১) প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং।
২) শারীরিক মাপ ও Physical Endurance Test (শারীরিক সক্ষমতা যাচাই)
৩) লিখিত পরীক্ষা।
৪) মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা।
৫) প্রাথমিক নির্বাচন
৬) পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
৭) চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তকরণ।
উল্লেখিত ০৭ টি ধাপ অনুসরণ করে একজন যোগ্য প্রার্থী বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেতে পারবেন। পদের সাথে সংগতি রেখে যোগ্যতা ও শর্তাবলি উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আহ্বান জানানো হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক নির্ধারিত নিয়োগ বিধি অনুযায়ী “ওয়েববেজড স্ক্যানিং” করা হবে।প্রার্থী মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করলে ঐ আবেদন নিয়োগের যে কোন পর্যায় বাতিল বলে গণ্য হবে।এ জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।ওয়েববেজড স্ক্যানিং শেষে যোগ্য প্রার্থীদের মোবাইল নাম্বারে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড সম্বলিত একটি এসএমএস পাঠানো হবে। শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই করণ এবং শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের অনলাইনে এডমিট কার্ড ফর Physical Endurance Test (শারীরিক সক্ষমতা যাচাই) প্রদান করা হবে। শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই করণের প্রথম দিনে এডমিট কার্ড ও Physical Endurance Test (শারীরিক সক্ষমতা যাচাই) এর দুই কপি, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সকল ডকুমেন্টসহ উপযুক্ত ড্রেসে নির্ধারিত দিনে যথাসময়ে নির্দেশিত স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে। সেখানে প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও ডকুমেন্ট যাচাই করা হবে। শারীরিক মাপ ও ডকুমেন্ট যাচাইয়ের সঠিকতা যাচাই করা প্রার্থীদের যোগ্য হিসেবে ঘোষণা করে Physical Endurance Test (শারীরিক সক্ষমতা যাচাই) এর Admit card প্রদান করা হবে এবং Admit card দেখে মাঠে প্রবেশ করানো হবে। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার ইভেন্ট শুরুর পূর্বে প্রত্যেক প্রার্থী ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন মর্মে উল্লেখ করে ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্র নিয়োগ কমিটির নিকট দাখিল করতে হবে।শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বোর্ড কর্তৃক ০৭টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে ইভেন্টগুলো হচ্ছে– দৌড়, পুশ–আপ, লং জাম্প, হাই জাম্প, দৌড়, ড্র্যাগিং, রোপ ক্লাইমিং।এর মধ্যে প্রতিটি ইভেন্টে কৃতকার্য হতে হবে, যেকোনো একটিতে অকৃতকার্য হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও মনস্তাত্ত্বিক এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এর যোগফল এর মাধ্যমে জেলাওয়ারী মেধাক্রম ঘোষণা করে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তকরণ করা হবে।
জেলা পুলিশ, ফরিদপুর।
ধন্যবাদান্তে
মোঃ তরিকুল ইসলাম
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি)
জেলা পুলিশ, ফরিদপুর।
Leave a Reply