মানিক কুমার দাস : ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেছেন “যে নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। সেই নেতাকে অবমাননা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।” শনিবার সকালে কবি জসীমউদ্দীন হলে তিনি কথাগুলো বলেন।
সম্প্রতি কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রতিরোধ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে দেশে একের পর এক অরাজকতাসৃষ্টি করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একের পর এক কটুক্তি করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যখন দেশের উন্নয়নে ব্যস্ত অন্যদিকে ওই সমস্ত লোকজন দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারীর যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন আমরা সরকারি কর্মচারীরা বসে থাকবোনা। তাদের ঐকবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ করব। অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মতো ধৃষ্টতা দেখাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, রাতের বেলায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গার মধ্যে কোন বাহাদুরি থাকতে পারে না। আপনারা পারলে প্রকাশ্য দিবালোকে তা করে দেখান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সেলিম মিয়া, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, স্বাচিপের সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া, বিএম এর সভাপতি অসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটু, প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক পান্না বালা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, প্রফেসর মোঃ সিরাজুল হক, প্রফেসর মোঃ মিজানুর রহমান, একেএম শামসুল আলম, মুজাহিদুর রহমান, বিমল কুমার বিশ্বাস , মনিরুল ইসলাম, নুরমোহাম্মদ কাজল, মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক রিজভী জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাসুম রেজা।
শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস সহ বাহিনীর সদস্যরা র্যালীতে অংশ নেন।
Leave a Reply