সবুজ দাস, ফরিদপুর : ”শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা”- এই ¯েøাগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবস উদযাপন উপলক্ষে (১ মে) রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন অংশ নেয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
এসময় জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষকে বেশি বেশি ভালবাসতেন। তিনি আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে মহান কারিগর হলেন শ্রমিক পেশা । শ্রমিকের কাজের নিরাপদ পরিবেশ ও জীবনমান উন্নত করা না গেলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মালিক ও শ্রমিকদের দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। একতাই দেশ গড়ার শক্তি যোগাবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইকুল ইসলাম, জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ মতিউর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ও মটর ওয়ার্কাস সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোঃ নাছির,
জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও নির্মান শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ ইমান আলী মোল্লা, জেলা কমিটির যুগ্ন আহবায়ক জুবায়ের জাকির, মোঃ আব্দুল হাকিম মিয়া, মোঃ মনিরুজ্জামান মমিন, কোতয়ালী থানা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মোঃ সেলিম শেখ ও কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মিঠু মিয়া প্রমুখ।
এসময় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন পেশার শ্রমিকগণ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য মেহনতি মানুষের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো নগরীতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পহেলা মে দিবস।
শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী প্রতিষ্ঠায় এই আন্দোলন তৎকালীন সময়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। পরবর্তীতে এই গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৯৯০ সাল থেকে সারাবিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদার সহিত পালিত হয়ে আসছে পহেলা মে দিবস।
Leave a Reply