নিজস্ব প্রতিবেদক : তারাপদ স্যার ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ সাংবাদিক, অনুকরণীয় বাতিঘর। তার আদর্শ মত চলতে পারলে আমাদের সমাজকে দ্রæত কলুষমুক্ত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি শিক্ষক, প্রতিটি সাংবাদিক, সমাজ সচেত প্রতিটি মানুষের উচিত স্যারের আর্দশ হৃদয়ে ধারন ও লালন করা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ স্যারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এ কথা গুলি বলেন। শনিবার স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে। বেলা ১১টার দিকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চ। ওই অনুষ্ঠানে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র ঘোষকে নিয়ে প্রকাশিত‘তারাপদ স্যার’নামে একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মুক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র ঘোষের স্মৃতি উল্লেখ করে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সদস্য অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, ফুলকি ফরিদপুরের সভানেত্রী অঞ্জলি বালা, অধ্যাপক শরিফ মো. আমীরুদ্দীন, অধ্যাপক শেখ আব্দুস সামাদ, ফরিদপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুরবরানন্দ, অধ্যাপিকা শিপ্রা রায়, ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষক গুরু দাস সাহা, ওই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রামেন্দ্র নাথ রায় কর্মকার, বর্তমান প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মোদাররেছ আলী, ফরিদপুর বিএমএর সভাপতি আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ফরিদপুর সচেতন কমিটির সাবেক সভাপতি মুজিবর রহমান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দ্র চক্রবর্তী, বøাস্টের সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী, নারী নেত্রী আসমা আক্তার।
ওই স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চেন সভাপতি আওলাদ হোসেন। তারাপদ নামের স্মাকগ্রন্থেও সম্পাদনা করেছে নাট্য ব্যক্তিত্ব ও গবেষক বিপ্লব বালা। প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছে চিত্রশিল্পী মাশুক হেলাল। ডিমাই ১/১৬ আকারের ওই বইটি ১৬ ফর্মার। এতে জগদীশ চন্দ্র ঘোষের একটি সাক্ষাৎকারসহ মোট ৫৯টি স্মৃতিচারণমূলক লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। জগদীশ চন্দ্র ঘোষের জীবন ও কর্মের উপর রয়েছে ৩০টিছবি। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকাশিত স্মরকগ্রন্থ থেকে নিজের লেখা সম্পাদকের বক্তব্য পড়ে শোনান বিপ্লব বালা। শুরুতে‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করো মলিন মর্ম ঘুচিয়ে’- ইতিনাগগানের সাথে এ স্মরণঅনুষ্ঠানে সূচনা হয়। মোড়ক উন্মোচনের আগে‘রাখতে যদি আপন ঘওে বিশ্ব ঘরে পেতামনা ঠাঁই ’গানটি পরিবেশ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পী সমাপ্তি রায়। সবশেষে সমবেত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
Leave a Reply