স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন কুমার রায়কে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক কলেজ ছাত্রীর পরিবার। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে সালথার স্থানীয় একটি সংবাদপত্র অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রীর চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী প্রণব পাল লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১০ মার্চ) আমার চাচাতো বোনকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আমার বাবা, চাচা, ছোট ভাই পিজুস পালকে পিটিয়ে আহত করে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায়ের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা।তবে এসময় সালথা থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে আমরা বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে বেঁচে যাই।
এরপর সালথা থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে ওইদিনই রাতে মামলা নিলে ছাত্রলীগ সভাপতি রায়মোহন গা ঢাকা দেয়। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রায় মোহনের প্রভাব খাটিয়ে মামলা তুলে নিতে তার সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার।
নিজেরা আতঙ্কে আছেন এই কথা বলে তিনি আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার এবং সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আকুল আবেদন করে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
এছাড়াও ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে রায়মোহনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগি কলেজ ছাত্রীর বাবা জীবন কুমার পাল, চাচা প্রাণ কুমার পাল, সনাতন কুমার পাল, চাচাতো ভাই প্রণব কুমার পাল, পিষুস কুমার পালসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে এক কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় কলেজ ছাত্রীর বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সারাদেশে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর ওই ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী উঠে।
Leave a Reply