1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
পোষ্টারে আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখায় তুলকালাম! - আজকের ফরিদপুর
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

পোষ্টারে আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখায় তুলকালাম!

  • Update Time : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১
  • ১২৩১ জন পঠিত



স্টাফ রিপোর্টার :

বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া এক নেতা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে চানানো পোস্টারে নিজেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এরই মধ্যে মামলাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে।



ওই নেতার নাম মো. ফিরোজ খান। তিনি তালমা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ও নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের ০৯ জন উপদেষ্টার চতুর্থ উপদেষ্টা।



এই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সহসভাপতি ও এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর এঘটনার বিচার দাবী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিষয়টি উপজেলা কমিটিকে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন জেলা কমিটি।



অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে তালমা এলাকায় পোষ্টার টানানো হয় ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ খানের শুভেচ্ছা ও ছবি সম্বলিত। সেখানে তিনি (ফিরোজ খাঁন) নিজের পরিচয় উল্লেখ করেছেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।




এঘটনায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদবী ব্যবহার করে পোষ্টার, লিফলেট ও ব্যানার টাঙানো হয়েছে উল্লেখ করে শাস্তির দাবীতে আদালতে মো. ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মো. বাবুল আক্তার। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।



এদিকে একই ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আ. মান্নান মোল্যা ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. জামাল হোসেন মিয়া। জেলা আওয়ামীলীগ সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদককে তদন্ত করে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।



এ বিষয়ে বিএনপির উপদেষ্টা পদ থেকে ২০১৬ সালে অব্যাহতি নিয়েছেন জানিয়ে অভিযুক্ত মো. ফিরোজ খান বলেন, আমি ২০১৬ সালে আওয়ামীলীগে যোগদানের পর থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছি। এখন আমাকে বিএনপি নেতা বলা অপরাধের শামীল। তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালের ১১ মার্চ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভায় জামাল হোসেন মিয়াকে বহিস্কার করে সেই জায়গায় আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।



ফিরোজ খাঁনের পিতা মকবুল খাঁন উপজেলা শান্তি কমিটির তালিকাভুক্ত সদস্য ছিলেন দাবী করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আওয়ামীলীগ একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। কারো মন মতো এখানে কিছু করা যায় না, দলের একটি শক্তিশালী গঠনতন্ত্র রয়েছে, দল চলে সেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক। গঠনতন্ত্র মোতাবেক আওয়ামীলীগ থেকে কাউকে বহিস্কার করা যায় না আবার চাইলেই কাউকে পদ দিয়ে দেয়া যায় না। এজন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়।



উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়াকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ওই সভাতেই মো. ফিরোজ খানকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। যদিও কেন্দ্র থেকে দীর্ঘ দিনেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় পুনরায় একই প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা অদ্যবদি অনুমোদিত হয়নি।



এই বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের কাছে এই ঘটনার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছাড়া কারো পদ কেড়ে নেয়া বা কাউকে পদ দেয়া নিয়মের মধ্যে পড়েনা। #

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION