স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় প্রেমের টানে দুই সন্তানের জননী এক চাচীকে নিয়ে উধাও হয়েছে এক ইউপি মেম্বার। উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলম নামের এক ইউপি মেম্বার লাবনী বেগম (২৪) নামে এক চাচীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সালথা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন। চাচী লাবনীর স্বামীর বাড়ি উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত দুইটার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী প্রতিবেশী ইউপি মেম্বার নুরুল আলমের সাথে প্রেমের টানে নিরুদ্দেশ হয়। পরে এঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য নুরুল আলমের সম্পর্কে লাবনী বেগম চাচী হন। তবে, দীর্ঘদিন ধরে লাবনীর স্বামী জাহিদের বাড়িতে যাওয়া আসা করত ইউপি মেম্বার নুরুল আলম। পরে এ সুযোগে চাচী লাবনীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে ওই মেম্বারের। পরে মঙ্গলবার (৭ জুন) দিনগত রাতে নুরুল আলমের হাত ধরে জাহিদের স্ত্রী লাবলী পালিয়ে যায়।
এদিকে ছোট ছোট দুটি কন্যা সন্তান রেখে মায়ের উধাও এর খবরে বড় মেয়ে মারিয়া আক্তার (৯) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৫) ভেঙ্গে পড়েছে। মেয়ে দুটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই চাচীর স্বামী জাহিদুল। জাহিদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার যা কিছু ছিল তার সবকিছুই নিয়ে নুরুল আলমের সাথে চম্পট দিয়েছে জাহিদের স্ত্রী লাবনী। ঘরে নেই টাকা পয়সা ; তার উপর ছোট কন্যার মায়ের শোকে অনবরত কান্না, আর বড় মেয়ের অসহায় চাহনীর কাছে জাহিদুল একান্ত অসহায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
এ ব্যাপারে স্বামী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী লাবনী রাত দুইটার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থকে বের হয়। টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় আমি খুঁজতে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার স্ত্রী টয়লেটে নেই। পরে আমার পরিবারের সকলে মিলে বাড়ির আশেপাশে খুঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাইনি। জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামের মো. মোফাজ্জল খালাসির কন্যা লাবনী আক্তারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক জাহিদুল ইসলামের বিবাহ হয়।
এব্যাপারে বক্তব্য জানতে মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেছে। এব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply