রাশেদুল হাসান কাজল, ফরিদপুর :
জিংক সমৃদ্ধ ধান থেকে উৎপাদিত প্রতি কেজি চালে ২২.৮ মিলিগ্রাম জিংক থাকে যা শরীরের ৭০ ভাগ জিংকের চাহিদা পূরণ করে। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষতা বাড়ায় জিংক আবার খাটো হওয়া থেকে বাঁচায় আমাদের ছেলেমেয়েদের। বাংলাদেশের ৫ বঠরের কম ৩৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলারা জিংকের অভাবে ভুগছেন যা দৈনিক আমাদের প্রধান খাবার ভাতের সাথে পূরন সম্ভব। জিংক সমৃদ্ধ চালের পুষ্টিগুন নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তভ্যে এমটাই বললেন ফরিদপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোঃ হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১০ টায় খামার বাড়ি হলরুমে ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা ধান চাষী, চাল কল মালিক, ধান ও চাল বিক্রেতাদের সাথে রাইচ গেইন ভেলুচেইন এক্টর সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক পুষ্টি গবেষনা প্রতিষ্ঠান হারভেস্ট প্লাস এর আয়োজনে ও ফরিদপুরের বেসরকারি এনজিও সংস্থা আমরা কাজ করি (একেকে) এর বাস্তবায়নে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোঃ হযরত আলী আরো বলেন, ফরিদপুরে এবছর প্রায় ১ হাজার টন জিংক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদন হয়েছে।
জিংক চালের পুষ্টিগুন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন হারভেস্ট প্লাস বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোঃ জাকির হোসাইন। তিনি বলেন, নিয়মিত মানব দেহে জিংক এর চাহিদা পূরণে গবেষকরা ধানের মধ্যে জিংকের পুষ্টিগুন দিয়ে ধান উৎপাদনে সম্ভব হয়েছে। এই ধান সারা দেশে ব্যাপী উৎপাদন করে জিংকের ঘাটতি দূর করতে হবে।
জেলা বিপনন কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বলেন, জিংক চালের দেশে উৎপাদন যথেষ্ট থাকলেওে প্রচার ও অজ্ঞতার অভাবে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এর জন্য ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। স্কুল-কলেজে, ইউনিয়ন পর্যায়ে চাষীদের এর উপকারিতা পৌছে দিতে হবে হবে তাহলেই এর সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে দোকানে সাইনবোর্ড টানিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। বাজারে জিংক চালের সহজলভ্যতাই পারবে এর ব্যবহার বাড়াতে।
একেকে পিসি এম .এ কুদ্দুস মিয়া বলেন, হারভেস্ট প্লাসের সহযোগীতায় ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা ধান চাষীদের দ্বারাএ ধান উৎপাদন করা হচ্ছে। এ ধান উৎপাদনে কৃািষ অফিস চাষীদের নিয়মিত সহায়তা নির্দেশনা প্রদান তরছেন। দেশে ৯ টি জিংক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদন হলেও ব্রি ধান ৭২ এবং ব্রি ধান ৮৪ এর জনপিয়তা বেশি।
সভায় এসময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবজাল হোসেন, হারভেস্ট প্লাস প্রজেক্ট অফিসার রুহুল কুদ্দস, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার সহফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার ৫০ জন ধান চাষী, চাল কল মালিক, চাল ও ধান বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply