রাজবাড়ী ব্যুরো :
হু হু করে বাড়ছে রাজবাড়ীর পদ্মার পানি। পানি বৃদ্ধির কারনে পদ্মায় জাল ফেললেই মিলছে বড় আকৃতির মাছ। মাছ বিক্রি করে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনছেন জেলেরা। আবার জেলের বেশি বেশি মাছ পাওয়া দেখে শখের বসেও নদীতে জাল নিয়ে ছুটছেন অনেকে। মৎস্য বিভাগ বলছে এ বছর ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হওয়ায় এখন ধরা পরছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় আকৃতির মাছ। এছাড়াও জেলেদের সংকটাপন্ন অবস্থায় দেওয়া হয়েছে প্রনোদনা।
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে গত তিন চার মাস তেমন একটা মাছ ধরা না পরলেও পানি বাড়ার কারনে এখন প্রতিদিনই পদ্মায় ধরা পরছে বড় আকৃতির পাঙ্গাশ, বাগাইড়, রুই, কাতল, বোয়াল রিটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছ না পেয়ে যে জেলেরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটিয়েছে এখন তাদের মুখে আনন্দের হাসি। বলছেন, প্রমত্তা পদ্মায় জালই ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের সুদিন।
আবার জেলেদের জালে এমন মাছের উৎসব দেখে পদ্মাপাড়ে জাল ও বরশি নিয়ে মাছ শিকারে আসছেন অনেকে। মাছ দেখতে পদ্মা পাড়ে ভীর করছেন স্থানীয়রা।
মাছ ব্যাবসায়ীরা বলছেন, প্রকাশ্য নিলামে ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে নেওয়ার বড় ঢাকাসহ দেশের অনেক জেলায় যোগাযোগ করা হয় টেলিফোনে। দরদাম ঠিক হওয়ার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় মাছ। পদ্মা নদীর এমন বড় বড় মাছ পেয়ে জেলে ও মাছ ব্যাবসায়ী সবাই লাভবান হচ্ছেন।
আর মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, জেলে ভাইদের জন্য প্রতি বছর চার মাসের জন্য ১৬০ কেজি করে চাল, তাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য, গরু ছাগল, হাস মুরগি প্রনোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হওয়ায় এখন ধরা পরছে বিভিন্ন প্রজাতির বড় আকৃতির মাছ। পদ্মা নদীর সুস্বাদু এই মাছগুলো বিক্রিতেও তেমন ঝামেলা নেই। তাই ভাগ্য ঘুরছে জেলেদের।
এ বছর রাজবাড়ী জেলায় সাড়ে তিন হাজার জেলেকে জিআর চাল প্রদান করা হয়েছে। তবে জেলেরা যাতে তাদের ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে নজর দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply