স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২৭ জুলাই ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ৬নং ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ইউনিয়নে চলছে উৎসব মুখর প্রচার প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থীতা করছেন মোঃ খুরশীদ আলম মাসুম। অপর দিকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন শাহ্ আসাদুজ্জামান তপন। প্রায় ৯ হাজার ভোটারের এই ইউনিয়নটি ভৌগলিক ভাবে প্রকৃতি খাল নানা আর কৃষিতে সমৃদ্ধ। ইউনিয়নের একদিকে মাগুরা জেলা আর এককাংশে রাজবাড়ী জেলা বর্ডার। বেশ কিছু কেন্দ্র ঝুঁকি পূর্ণ বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানা গেছে।
ঝুঁকি পূর্ণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে ১, ২, ৯, ৩নং কেন্দ্র দুই প্রার্থীর পাল্টা পাল্টি অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মরামারির ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সংখ্যা লঘু ভোটাররা রয়েছেন চরম বিপাকে। তাদেরকে নানা হুমকী দেওয়া হচ্ছে বহিরাগত মোটরসাইকেল ক্যাডার দিয়ে এমন অভিযোগ সতন্ত্র প্রার্থী তপনের। অন্য দিকে অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করে নৌকার মাঝি মাসুম বলেছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা আমার সমর্থকরা কাউকে হুমকী দেয়নি। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন এই ইউনিয়নে সড়ক উন্নয়ন করেছি। ৫০ বছরে কোন শহীদ মিনার ছিল না তাও নির্মাণ করেছি। আমাদের সমস্যা নিজেস্ব কোন ইউনিয়ন ভবন নেই জায়গা খরিদ করা হয়ে গেছে নির্বাচনে জয়ী হলে সেটাও সমাধান হবে।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, এলাকার মানুষের বিপদে আপদে যিনি কাজ করবেন আমরা তাকেই ভোট দেবো। নৌকাকে জিতাতে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। সাধারণ মানুষ মনে করছেন আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভাজন না থাকলে নৌকা জয় লাভ করতে পারে। অন্য দিকে সতন্ত্র প্রার্থী তপনও খুব শক্তিশালী প্রার্থী বলে জানা গেছে। তিনিও মানুষের আস্থা নিয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। ২৭ জুলাই ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে কে হবেন ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের অভিভাবক। এখন প্রতিদিন শুধু প্রচার প্রচারণা আর চায়ের কাপের উষ্ণতায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলতে থাকবে।
Leave a Reply