স্টাফ রিপোর্টার : রেল মন্ত্রী জিল্লুর হাকিম বলেছেন, রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকাগামী চন্দনা-ভাঙ্গা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুর রেল স্টেশনে থামবে। এর জন্য আর কোন আন্দোলন করতে হবে না। তিনি বলেন, পাশাপাশি সুন্দর বন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিও আগের নিয়মে এবং আগের পথে চলতে থাকবে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ভাঙ্গার বামনকান্দায় অবস্থিত ভাঙ্গা জংশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুর রেলস্টেশনে থামবে। ‘ওদের আশ^স্ত করে দাও, রিশিডিউল দিয়ে দেব, স্টপেজ দিয়ে দেবো এজন্য আর আন্দোলন করতে হবে না।’ রিশিডিউল করার পরই ফরিদপুর রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে চন্দনা বলে জানান জিল্লুর হাকিম। ভাঙ্গা-বেনাপোল রেলপথ চালু হলে বর্তমানে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের উপর দিয়ে চলাচলকারী সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি নতুন পথে সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, ওই দুটি ট্রেন সরানো হবে না। ওই পথে নতুন ট্রেন দেওয়া হবে।
‘ভাঙ্গা বেনাপোল পথের কাজ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে’-মন্তব্য করে রেল মন্ত্রী জিল্লুর হাকিম বলেন, আমরা আশা করছি আগামী অক্টোবর থেকে ওই পথে বাণিজ্যিক ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে মন্ত্রী মাগুরা থেকে ভাঙ্গা রেল স্টেশন জংশনে এসে পৌঁছান। তিনি ভাঙ্গা বেনাপোল রেলপথের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা নেন। এ সময় তাঁর সাথে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ন কবির, রেলের মহা পরিচালক (ডিজি) সর্দার শাহাদাত ঢালী, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে ৩৫ মিনিট অবস্থান করে রেলমন্ত্রী সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে ভাঙ্গা রেল জংশন স্টেশন ত্যাগ করেন।
Leave a Reply