বিজয় পোদ্দার, ফরিদপুর: ফরিদপুরের কামার সম্প্রদায়ের দিন বদলাচ্ছেনা! কেন ভালো নেই এই স¤প্রদায় লোকজন। সময়ের আধুনিকায়ন কালের চক্রের গতি বারালেও এই সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের গতি আসেনি। সনাতন পদ্ধতি মেনেই চলছে জীবন জীবিকা কেউ কেউ বংশ পরম্পারার এ পেশা থেকে সরে এসেছেন। পবিত্র ঈদুল আযহা বা কুরবানী ঈদ শুরুর প্রাক্কালে বিভিন্ন হাট বাজারে অনেক মালামালের পসড়া নিয়ে বসছেন তারা। কিন্তু কাঙ্খিত মালামাল বিক্রি না হওয়ার কারণে তারা অনেকটাই হতাশ। এ ব্যাপারে কথা হল শহরের আলিপুর মোড়স্থ বাদল কর্মকারের সাথে।
তিনি বলেন, গত বছর বেচা কিনা ভাল ছিল না করোনার কারণে। তবে এ বছর কাঙ্খিত বিক্রি করতে না পারায় অনেকটা হতাশ হয়েছেন। এখানে একটা চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকার ভিতর। একটা ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এর ফলে এসব মালামাল বিক্রি করে অনেক কষ্টের সংসার নির্বাহ করতে হচ্ছে তাদের। আগামী রবিবার পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। আর ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই যে ধরনের বেচাকেনা হয় এ বছর তার অর্ধেক বেচাকেনা করতে পারেননি এখনও । আশা করছেন যে কয়েকদিন বাকি আছে এই বাকি দিনগুলোতেই মালামাল বিক্রি করে অনেকটা ক্ষতিপুষে নিতে পারবেন। তিনি বলেন সারা বছরই তিনি দা বঠি কুড়াল শাপল কোদাল বিক্রি করে তার জীবন ধারণ করতে হয়।
এই কাজে সহযোগিতা করেন তার ছেলে সুদেব কর্মকার ও দুজন কর্মচারী।এদের নিয়ে তাকে সারা বছরই এই কর্মকারের কাজ করতে হয়। কিন্তু কাঙ্খিত বেচাকেনা না করতে পেরে তিনি বেশ হতাশ একই সাথে বিভিন্ন স্থানে অকাল বন্যার কারণে এবং দরিদ্র মানুষের হাতে পয়সা না থাকার কারণে এই অবস্থা হচ্ছে বলে তার ধারনা। বিভিন্ন কামার সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, আদি এই লোহা শিল্পের শিল্পীরা দারিদ্রতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি বেশিরভাগ কেউ কেউ সময়ের কারনে পেশা বদলিয়েছেন। আগামী দিন গুলোতে এই সম্প্রদায়ের পেশাগত কর্ম ধরে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্ঠ পোষকতা ও পেশার শিল্প সৃজনে আধুনিকায়নে স্পর্শ প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
Leave a Reply