স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে জেলা দুদকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসামিদের সাথে যোগসাজস করে, প্ররোচিত হয়ে, অন্যায় লাভে লাভবান হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন ওই নেতা। ওই নেতার নাম মো. সহিদুল ইসলাম ওরফে মজনু। তিনি ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
লিখিত অভিযোগে সহিদুল ইসলাম বলেন, ঈশান গোপালপুরের মৃত খগেন্দ্রনাথ সরকারের তিন ছেলে উজ্জ্বল সরকার (৪০), উৎপল সরকার (৩৮), উত্তম সরকার (৩৫), খগেন্দ্রনাথের স্ত্রী লিপিকা সরকার এবং ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া জালজালিয়াতিপূর্ণ ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মৃত ঈশান চন্দ্র সরকারের সম্পত্তি নামপত্তন করে বিক্রি করে দিচ্ছেন।লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ফরিদপুরের বিশেষ জেলা জজ আদালতে গত ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর ওই পাঁচ জনের নামে একটি মামলা করেন।
আদালত এ মামলাটি তদন্তের জন্য দুদক ফরিদপুরকে দেয়। কিন্তু দুদক আজ পর্যন্ত এ মামলার কোন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করে আসামিদের সাথে যোগসাজস করে আসামিদের দ্বারা বাধ্য ও প্ররোচিত হয়ে আসামিদের দ্বারা অন্যায় লাভে লাভবান হয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। দুদকের এ কর্মকান্ডের ফলে তার নালিশী মামলার ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হচ্ছে। লিখিত অভিযোগে তিনি তদন্ত সংস্থা দুদক ফরিদপুরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানান। মো. সহিদুল ইসলাম জানান তার এ অভিযোগ তিনি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চেয়ারম্যান দুদক, জেলা প্রশাসক ফরিদপুর এবং উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত এলাকা ফরিদপুরকে অনুলিপি দেওয়া হয়।
সহিদুল ইসলামের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আদালতের আদেশে দুদক তদন্ত করছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের কাজ শেষ হতে দুই বছর কিংবা তিন বছরও লেগে যেতে পারে। যিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার কোন অভিযোগ থাকলে তিনি আদালতে জানাতে পারতেন, জানাতে পারতেন দুদককেও। তা না করে চলমান মামলা বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রকারন্তরে আদালত অবমাননা করেছেন।
এ অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে কথা হয়েছে উজ্জল সরকারের সাথে। উজ্জল সরকার বলেন, সহিদুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। তিনি বলেন, মনগড়া গল্প ফেঁদে এ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জমিদার ঈশান চন্দ্র সরকারের ওয়ারিশন হিসেবে আনেকগুলি মামলা অতিক্রম করে আমাদের পক্ষে রায় আসার পর ফরিদপুরের এসি ল্যান্ড আমাদের নামে সম্পত্তির নাম জারি করেছেন। এখানে জাল জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই।
Leave a Reply