বোয়ালমারী অফিস : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উথলী গ্রামের কাঞ্চন মোল্যার ছেলে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক জাহাঙ্গীর হোসেনকে এলাকার একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে হত্যা মামলায় ইন্ধনদাতা হিসাবে নাম দেওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। এই হত্যা মামলা থেকে জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন সহ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইজিপি সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন তারা।
এলাকা ঘুরে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় জাহাঙ্গীর হোসেন ছোট বেলা থেকেই তিনি আদর্শবান, পরোপকারী লোক হিসেবে পরিচিত। ব্যাবসা বানিজ্যের পাশাপাশি জনসেবা করার লক্ষ্যে এবং জনগনের অধিক আগ্রহ,অনুরোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সামান্য কিছু ভোটে হেরে গিয়েও জনসেবা হতে তিনি কখনো পিছুপা হননি। একারনে প্রতিপক্ষ লোকজন জাহাঙ্গীর হোসেনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রতিপক্ষ লোকজন দুর্বৃত্তবাদী,লাঠিয়াল, দস্যু, পরসম্পত্তি লোভী হওয়ায় একের পর এক নির্যাতন করতে থাকে এলাকার মানুষের উপর। নিরীহ মানুষের পক্ষ নেওয়ায় জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিপক্ষের প্রধান শত্রুতে পরিনত হয়। ইতিমধ্যে এলাকায় ঘটে যায় দাঙ্গা, হাঙ্গামা,হত্যার মতো লোমহর্ষক ঘটনা। এলাকা শান্ত রাখতে জোর চেষ্টা চালায় জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত প্লহয়ে ওঠে এলাকার একটি দালাল ও কুচক্রী মহল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ই সেপ্টেম্বর বোয়ালমারি থানার সোনানগর গ্রামে একটি সংঘর্ষ ঘটে যায়। এই ঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষই একটি করে দরখাস্ত থানায় দাখিল করে। থানা কর্তৃপক্ষ আজিম উদ্দিন শেখের এজাহারটি গ্রহণ করলেও এনামুল শেখের দেয়া এজাহারটি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে। পুলিশ শান্তি শৃঙখলা রক্ষার জন্য তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং একটি দরখাস্ত এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। এই এজাহারে ১১ জনকে আসামী করা হয় এবং এজাহারে অন্তর্ভুক্ত তিন জনের মধ্যে দুই জনকে আদালতে প্রেরন করা হয়।
ইতিমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একপক্ষের একজন মারা যায় এবং ভয়ভীতিতে অপরপক্ষের একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়।
ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। কায়েস মোল্যা আসামি পক্ষের হওয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলায়ন করে ফলে থানা কর্তৃপক্ষ এদের এজাহার গ্রহন করে না। পরের দিন বাদী এলাকার একটি কুচক্রী মহলের পরামর্শে, প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আটককৃত খায়রুলসহ নতুন করে আরও ৫ জনে আসামি হিসেবে উল্লেখ করে আরও একটা দরখাস্ত দেয় এই দরখাস্তে ইন্দনদাতা হিসাবে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম উল্লেখ করেছ। এতে এলাকায় আওয়ামী প্রেমী লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এবং জাহাঙ্গীর হোসেন কে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য মানববন্ধন সহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ দপ্তরে আবেদন জানিয়েছে।
Leave a Reply