আরিফুজ্জামান চাকলাদার, আলফাডাঙ্গা ;
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভা ৭ নং ও ৩ নং ওয়ার্ডে সীমানা ঘেষে বসতবাড়ি নির্মাণের অজুহাতে সরকারি খালের জায়গায় জুড়ে মাটি ভরাট করার ফলে বৃষ্টি হলেই খাল সংলগ্ন সড়কে পানি জমে থাকায় চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, খাল ভরাট থাকায় বাকাইল মেইন রোডের বিশ্বাস পাড়া জামে মসজিদের পাশ দিয়ে গোপালপুর পাগলের আস্তানা পর্যন্ত লিংক পাকা রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিকে খালের কিছু অংশ এখনো দৃশ্যমান, যার নিদর্শন হিসেবে এখনো আস্তানার পাশে প্রধান রাস্তায় একটি সেতু রয়েছে। কিন্তু ব্রীজ হতে দক্ষিণে ননী বিশ্বাসের বাড়ি পর্যন্ত সরকারি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট চওড়া খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ওই অংশে খালের কোন সাদৃশ্য এখন আর চোখে পড়েনা না।
পথচারীরা জানান, এই লিংক রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাফেরা করে। কিছু পরিবার সরকারি খালের জায়গায় মাটি ভরাট করে বসতবাড়ি হিসাবে ব্যবহার করায় এই পানির জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে পাকা রাস্তার উপর হাটু পানি জমে। এর ফলে অচিরেই পাকা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাবে।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা জানান, হাটু পানি বেঁধে যাওয়ায় আমাদের ভীষণ দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। আয়সা আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রী বলেন, জুতা সেন্ডেল খুলে যাতায়াত করতে হয়। এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চায় তারা।
পলাশ সাহা ও প্রসান্ত রায় বলেন, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ৭ নং ওয়ার্ডে নিজ জায়গায় পাকা ভবন করার অযুহাতে সরকারি খালের ভিতরে মাটি ভরাট করায় এই দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এদিকে পৌর মেয়র মো. সাইফুর রহমান বলেন, আমি মেয়রের দ্বায়িত্ব নেয়ার আগে থেকেই খালটি বেদখলে রয়েছে। খালটি পূর্নরুদ্ধারের কাজ চলছে। তিনি বলেন, পাঁকা ভবনের কাজ করতে গিয়ে মাটিতে খাল ভরাট হয়েছে,আমি অনেক বার ড্রেনের প্রকল্প দিয়েছি। প্রকল্প ব্যয় বেশি হওয়ায় পাস হয়নি। #
Leave a Reply