স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক বলেছেন, ফরিদপুরের মধুখালীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে ঘটিয়েছে। নিহতরা এ অসৎ উদ্যেশের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। ফরিদপুরে জেলা সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলি বলেন ধর্মমন্ত্রী। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। ধর্মমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আশা করা যায় না, বিশ^াস করা যায় না, চিন্তা করা যায় না। ইতিমধ্যে প্রশাসন ও পুলিশ এ ঘটনা জোরাল ভুমিকা নিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। এর ন্যায় বিচার হবে। দোষিরা সনাক্ত হলে এবং মামলাগুলি তদন্ত করার কাজ শেষ হলে এ মালাগুলি দ্রæত বিচার আইনে বিচার করা হবে।
ধর্মমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে তার ফোনালাপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মধুখালির এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে প্রধানমন্ত্রী নিজেও অত্যন্ত ব্যথিত, কষ্ট পেয়েছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রæততম সময়ের মধ্যে তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও বিচারকার্য সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক বলেন, আলেম সমাজের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় আলেম সমাজ যথাযথ ভুমিকা পালন করেছেন। এ পরিস্থিতি টিকিয়ে রাখতে হবে।
ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, আপনজন হারানোর বেদনা টাকা দিয়ে উপশম ঘটানো যায় না। তবে এ জাতীয় ঘটনা আর যাতে না ঘটে এ জন্য আমাদের সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, ফরিদপুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা। এ ঘটনায় ফরিদপুরে কলংকের যে দাগ পড়েছে সঠিক বিচারের মাধ্যমে সে কলংক ঘোচাতে হবে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। তদন্ত নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে গুজবে কিংবা কান কথায় কান না দিয়ে সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ করার আহŸান জানান তিনি।
সভার অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, অধ্যাপক ও প্রবীণ সাংবাদিক মো. শাহজাহান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগম, জেলা ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কাইয়ুম, ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আব্দুল কাইউম, সাবজাননেসা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হুসাইন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথ, নারীনেত্রী আসমা আক্তার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় যে দুই জন নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ধর্মমন্ত্রী মধুখালীর নওপাড়া ইউনিয়নের চোপের ঘাট গ্রামে গিয়ে এ গত বৃহস্পতিবার রাতে মধুখালীর পঞ্চপল্লি গ্রামে সংঘটিত নিহত দুই সহোদর ভায়ের বাড়িতে যান। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এরপর ধর্ম মন্ত্রী পঞ্চপল্লি গ্রামে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply