মধুখালী সংবাদদাতা : মধুখালীতে আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক একজনকে আটক করেছে। এর আগে ঘটনার রাতেইমধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই ননী গোপাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আইনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৪ জনের নাম দিয়ে এবং আর ৪/৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়। স্বর্ণ উদ্ধারে কাজ চলছে।
ছিনতাইয়ের শিকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়া বলেন, আমি কুমিল্লা থেকে চুয়াডাঙ্গা আমাদের স্বর্ণালংকার তৈরির কারখানায় ২০টি স্বর্ণবার নিয়ে খান পরিবহন নামে একটি বাসে করে যাওয়ার পথে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী এলাকায় গড়াই সেতুর টিকিট নেয়ার জন্য টোলঘরে বাসটি দাড়ালে একটি মোটরসাইকেল গাড়ির সামনে রেখে তিন/চারজনের ছিনতাইকারী একটি দল আমাকে পাশের একটি বাড়ির ভিতর নিয়ে আমার নিকট থাকা ২০টি স্বর্ণেরবার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সহকারি পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর ছিনতাইয়ের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় রাতেই ৪জনের নাম এবং অজ্ঞাত আর ৪/৫জন আসামী করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রাতেই রইচ পিং তারা মিয়া কামারখালী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে বাকিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না । বাকি ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে দ্রুত তাদেরকে আটকসহ মালামাল উদ্ধার করা হবে।
উল্লেখ্য গতশুক্রবার প্রকাশ্যে দিবালোকে সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটার সময় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী গড়াই সেতুর টোলঘর এলাকায় কুমিল্লা থেকে চুয়াডাঙ্গায় পরিবহন যোগে স্বর্ণালংকার তৈরি কারখানায় স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার পথে প্রায় দেড়কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ছিনতাইয়ের শিকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম রাসেল মিয়া। সে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার শহিদ মিয়ার ছেলে। স্থানীয় কয়েকজন ছিনতাইকারী এ ঘটনা ঘটিয়ে (রাজবাড়ি ল-১১-২২৭৭) নং একটি মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে তারা নাম বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply