মোঃ সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার চৌধুরীকান্দা গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে নুপুর সাহা(২৬) নামে এক নারী এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে পার্শবর্তী রায়পাড়া সদরদী গ্রামের নরেশ্বর রায়(কার্তিক) এর স্ত্রী এবং ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বড় গুয়ালদী গ্রামের সুনিল সাহার মেয়ে। তার ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এবং সে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিল বলে পারিবারিক সূত্রে প্রকাশ। বুধবার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে অর্ধ-বিবস্ত্র অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয় নুপুর। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পার হলেও নুপুর বাড়ীতে না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে রাত্রে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরদিন বুধবার বিকেলে এলাকাবাসী পার্শ্ববর্তী একটি পাট ক্ষেতে নুপুরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্বার করে। নুপুরের শ্বাশুড়ী মায়া রানী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, নুপুর সাত মাসের অন্তঃস¦ত্তাা ছিলো। তার ছয় বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। ছেলেটি আজ মা হারা হলো।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার রাতে নুপুরের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেছিলো তার পরিবার। প্রাথমিক ধারণামতে, নুপুরকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত কার্য চলমান রয়েছে ,পরবর্তিতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে নুপুরের কর্মস্থল এনজিও প্রতিষ্ঠান আতদ্বীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ খায়রুল ইসলাম ইসলাম বলেন, গতকাল নূপুর সাহা ফিল্ডে গিয়ে এনজিওর টাকা উত্তোলন করে ভাঙ্গা কেন্দ্রে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন।
বার বার ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় আমরা নূপুর সাহার বাড়িতে যাই। কিন্তু বাড়িতে না পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থান সহ হাসপাতালে খোঁজ খবর নেই। পরবর্তীতে আমরা থানায় একটি জিডি করি। এর পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাকে খোঁজাখুঁজি করি। এনজিও কর্মীরা বলছেন গতদিন অন্যান্য দিনের তুলনায় তিনি কম টাকা কালেকশন করেন যা প্রায় লক্ষাধিক। গতকাল রাতে থানায় অভিযোগ দেবার পর থেকে সবাই খোঁজ খবর নিতে থাকি। আজ বিকালে খবর পাই পার্শবর্তী গ্রামের পাট ক্ষেত নূপুরের লাশ পরে রয়েছে।
Leave a Reply